কলকাতা:  লেকটাউনের জাল চিকিৎসককাণ্ডে নয়া তথ্য। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে অরোদীপ চট্টোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, জালিয়াতি করে চিকিৎসা করতেন তিনি। ব্যবহার করতেন ভুয়ো ডিগ্রি।
তদন্তকারীদের দাবি জেরার মুখে অরোদীপ জানান, তিনি সল্টলেকের সেক্টর থ্রি-র সুবোধ মিত্র ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার থেকে এমডি ডিগ্রি পান। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সংস্থা জানিয়েছে, তারা এরকম কোনও ডিগ্রি অরোদীপকে দেননি। পাশাপাশি, মার্কিন সংস্থার যে ডিগ্রি অরোদীপ ব্যবহার করতেন, তা সঠিক কি না তা জানতে সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা।
এদিন বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয় অরোদীপকে। ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও ধৃতের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, অরোদীপের ক্লিনিক থেকে মিলেছে একটি রেজিস্টার খাতা। সেখানে রোগীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লেখা রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, তদন্তে নেমে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। তাঁদের দাবি, নিজের নামে ওষুধও তৈরি করিয়েছিলেন ধৃত অরোদীপ চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশের দাবি, ধৃতের ক্লিনিকে মিলেছে বেশ কিছু ওষুধের শিশি। শিশির গায়ে ওষুধের কম্পোজিশন লেখা নেই, কিন্তু ইংরেজিতে লেখা অক্ষর। কোনওটার গায়ে ‘এআরএ’, কোথাও ‘ডি’, কোনও বোতলে ‘ইইপি’। এরকম লেখা দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। কিন্তু লেখার কারণ স্পষ্ট ছিল না। তারপর পাশাপাশি বসাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, শিশিগুলিতে ইংরেজিতে লেখা অরোদীপ নামের অক্ষর।
কিন্তু কেন এভাবে শিশিগুলিতে নামের অক্ষর লেখা? কেন লেখা নেই ওষুধের উপাদানের কথা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিশিগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।