প্রাথমিক শিক্ষকপদে নিয়োগ: বহাল ২০০৯-এর প্যানেল, স্বস্তিতে রাজ্য সরকার
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 22 Jul 2016 03:40 PM (IST)
কলকাতা: ২০০৯ সালের প্যানেল অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত বহাল। সিঙ্গল বেঞ্চের প্যানেল পুর্নবিন্যাসের রায় খারিজ করে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। শুক্রবার মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র পাল ও বিচারপতি মীর দারা শেখোর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ওই প্যানেল অনুযায়ী প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষক এখন শিক্ষকতা করছেন। তাঁদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায় না। ২০০৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তৎকালীন রাজ্য সরকার। পরীক্ষার পর, ২০০৯ সালে তৈরি হয় প্যানেল। ২০১০ সালে প্যানেলভুক্ত চাকরীপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ২০১১ সালে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ১৯৯৫-৯৬ থেকে ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী পিটিটিআই-এর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে নিয়োগের সময় অতিরিক্ত বাইশ নম্বর দিতে হবে৷ কিন্তু পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, এই নম্বর তাঁদের দেওয়া হচ্ছিল না৷ নম্বর না দেওয়ার অভিযোগ ও ২০০৯ সালের প্যানেল বাতিলের দাবিতে ২০১২ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পিটিটিআই প্রশিক্ষিত চাকরীপ্রার্থী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল, ২০০৯ সালের প্যানেল পুর্নবিন্যাসের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি, পিটিটিআই প্রশিক্ষিতদের অতিরিক্ত ২২ নম্বর দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সেই মামলাতেই খারিজ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়।