কলকাতা: আবারও সেই জয়পুরিয়া কলেজ। এবার আক্রান্ত খোদ অধ্যক্ষ।

ক’দিন আগেই জয়পুরিয়া কলেজের সান্ধ্য বিভাগের ইন চার্জ অশ্বিনী কুমার রায়কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অপমানে পদত্যাগপত্র পর্যন্ত পাঠিয়ে দেন তিনি। এবার সিনেমার কায়দায় মারধরের অভিযোগ উঠল স্বয়ং অধ্যক্ষকে!

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১.৫০।

বাড়ি থেকে কলেজ যাচ্ছিলেন অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়। রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটে যানজটে আটকে পরে গাড়ি। অভিযোগ, তখনই চড়াও হয় রুমালে মুখ ঢাকা ২০-২২ বছরের দুই যুবক। লক করা না থাকায় গাড়ির দরজা খুলে অধ্যক্ষকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

এরপর নিজেই নারকেলডাঙা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়।

কলেজে গিয়ে অধ্যাপকদের বিষয়টি জানান অধ্যক্ষ। এরপর বিকেলে ঘটনার বিবরণ দিয়ে তদন্ত ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগপত্র পাঠান তিনি।

অসুস্থতার জেরে দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ। তারপরই এই ঘটনা। স্বভাবতই আতঙ্কিত তিনি।

কিন্তু, কারা ঘটাল এই ঘটনা? মুখে রুমাল বাঁধা থাকায় কাউকে চিহ্নিত করতে পারেননি অধ্যক্ষ। তবে তাঁর গাড়িচালক জানিয়েছেন, একজন লাল জামা পড়ে ছিল।

ডিসি ইএসডি দেবস্মিতা দাস জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এলাকা কোনও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ছিল কি না, দেখা হচ্ছে।

কয়েকদিন আগে এই জয়পুরিয়া কলেজে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে ক্লাস পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব, সংগঠনের ৩ ইউনিটই ভেঙে দেয়। এমনকী পরিচালন সমিতির সরকারি প্রতিনিধির পদ থেকে মন্ত্রী শশী পাঁজাকে সরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানো হয়। এবার ভরদুপুরে সেই জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষকেই মারধরের অভিযোগ। রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে শান্তিপুর কলেজ, অতীতে অধ্যক্ষ বা অধ্যাপক নিগ্রহেরর অভিযোগ উঠেছে বারবার। কিন্তু, রাস্তায় গাড়ির দরজা খুলে অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শিক্ষা মহলে।