কলকাতা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোন্দলে জয়পুরিয়া কলেজে অচলাবস্থা। পদত্যাগে অনড় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং সান্ধ্য বিভাগের ইন চার্জ। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফা দিলেন ১৮৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষও!

 

কিন্তু আচমকা কেন পদত্যাগ করলেন অধ্যক্ষ? কেউ কেউ বলছেন, এর কারণ ভর্তি নিয়ে শাসকের চাপ। অনেকে আবার বলছেন, নানা সিদ্ধান্তের জেরে কলেজের সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই বিরাগভাজন হয়েছিলেন অধ্যক্ষ। ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ অবস্থা থেকেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।

 

ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যক্ষের ওপর যে চাপ তৈরি করা হয়েছিল, তা অস্বীকার করছেন না স্কটিশ চার্চের পড়ুয়ারাও। গোটা বিষয়ে ছাত্রদের একটা বড় অংশ অধ্যক্ষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদিও ভর্তি নিয়ে চাপের অভিযোগ-প্রসঙ্গে ধোঁয়াশা বাড়িয়েছেন অধ্যক্ষ। পদত্যাগ প্রশ্নে তাঁর গলায় শ্লেষের সুর। তিনি বলেছেন, ‘কলেজে কিছু বুদ্ধিজীবী আছে, তাঁদের সঙ্গে আমার মতবিরোধ।’

 

কলেজ কাউন্সিলকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। কলকাতার বিশপ অশোক বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। এ নিয়ে কাউন্সিল বৈঠকে বসবে।’

টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদ অবশ্য ভর্তি সংক্রান্ত চাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 

রাজ্য সরকার বারবার বলছে, ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। চালু হয়েছে অনলাইন পদ্ধতি। কিন্তু তার পরেও এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ঐতিহ্যশালী স্কটিশেও অস্বচ্ছতা মাথাচাড়া দিচ্ছে? জল্পনা তুঙ্গে।