কলকাতা: জমি-আন্দোলন শুরু হয়েছিল ক’দিন আগেই। এবার তা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজারহাট-নিউটাউন।

হিডকো দফতরে আন্দোলনকারী কৃষকদের স্মারকলিপি পেশ ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য সতর্ক ছিল প্রশাসন। হিডকো দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ছিল কড়া নজরদারি। মজুত ছিল জলকামান, র্যাফ।

সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ অনুগামীদের নিয়ে হিডকো ভবনের সামনে যান আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতা শেখ নিজাম। বলেন, হিডকো কর্তৃপক্ষ যেহেতু তাদের স্মারকলিপি নিচ্ছে না, তাই আইন অমান্য করা হবে। এরপরই নিজামকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রতিবাদে নিউটাউন থানায় বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের।

কৃষকদের দাবিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে কংগ্রেস।

এদিকে, রবিবার যে পাঁচজন কৃষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, এদিন তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন।

রাজারহাট নিউটাউনে উপনগরী তৈরির জন্য বাম আমলে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল।

কৃষকদের অভিযোগ, প্রায় একুশটি মৌজার জমি কার্যত ক্ষতিপূরণ ছাড়াই দখল করে নেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের টাকাও কম দেওয়া হয়।

সিঙ্গুরের উদাহরণ দেখিয়ে, রাজারহাটেও জমির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন কৃষকরা।

তাঁদের দাবি, যে জমিতে নির্মাণকাজ হয়েছে, সেই জমির জন্য ক্ষতিপূরণ এবং যে জমিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়নি, সেই জমি ফেরত দেওয়া হোক।

এইসব দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সিঙ্গুরের সঙ্গে একে এক করে দেখা ঠিক হচ্ছে না।

কিন্তু, সিঙ্গুরকে মডেল করে যদি একের পর এক জায়গায়, এভাবে সরকারের অধিগৃহীত জমি ফেরতের দাবি ওঠে এবং তা যদি ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে রাজ্যে শিল্পে হবে কোথায়? প্রশ্ন বণিক মহলের একাংশে।