কলকাতা:  গত বছর ১৫ ডিসেম্বর, কলকাতার ম্যাঙ্গো লেনের একটি অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় দেড় কোটি টাকা মূল্যের অচল নোট। সূত্রের খবর, ধৃতরা পুলিশের কাছে দাবি করে, বিভিন্ন বেনামি সংস্থার নামে এই সব টাকা তাঁরা জমা রাখতেন।

সূত্রের খবর, এরপর এরকম বেশ কয়েকটি বেনামি সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

উদ্ধার হয় একটি কম্পিউটার।

পুলিশ সূত্রে খবর, সেই কম্পিউটারে দু’টি ফোল্ডারের হদিশ মেলে। একটি ফোল্ডার ছিল রোজভ্যালির নামে। আরেকটি ম্যাডাম রোজভ্যালি নামে।

পুলিশ সূত্রের দাবি, এই ম্যাডাম রোজভ্যালি ফোল্ডারটি হচ্ছে, রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর নামে। এই ফোল্ডার খতিয়ে দেখে, রোজভ্যালির ১৫ কোটি টাকা বাইরে পাচার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে আরও দাবি, শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে মনোজ কুমার নামে ইডির এক আধিকারিকের সম্পর্ক ছিল। দুজেনর মধ্যে প্রায়ই কথা এবং মেসেজে চালাচালি হত। এ নিয়ে তথ্য-প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

পুলিশ সূত্রে আরও দাবি, দিল্লির সুন্দরনগরের একটি হোটেলে ইডির ওই সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রীর ঢোকার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে দাবি, দুজনকে একসঙ্গে বিমানবন্দরেও দেখা গিয়েছে।

এক অভিযুক্তের স্ত্রীয়ের সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের এই সম্পর্কের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

যদিও ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মনোজ কুমারের দাবি,

সারদা থেকে রোজভ্যালি, প্রত্যেকটি তদন্তে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। কোর্ট লিখিতভাবে আমার তদন্তের প্রশংসা করেছে। সারদা থেকে রোজভ্যালি, প্রত্যেকটি তদন্তে সক্রিয় ছিলাম বলেই ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।

এদিকে, রোজভ্যালি কর্ণধারের স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।