কলকাতা: দিল্লির পাশাপাশি আজ কলকাতাতেও পালিত হয় ৭২-তম প্রজাতন্ত্র দিবস। রেড রোডে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী। তবে করোনা আবহে এবার কুচকাওয়াজের সময়সীমা কমিয়ে করা হয় আধ ঘণ্টা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় কুচকাওয়াজ। অনুষ্ঠানে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আমন্ত্রিত ছিলেন মাত্র ২০০ জন। রেড রোডের কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ২১টি ট্যাবলো। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দফতরের ট্যাবলোও ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল-সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। অনুষ্ঠানে সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ন্যায়, মুক্তি, সাম্য, ভ্রাতৃত্বের কথা বলেন। লেখেন, আমাদের চিরদিন সংবিধানের আদর্শকে রক্ষণাবেক্ষণ, পালন ও অনুসরণের চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রতিটি ভারতবাসীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা। কলকাতায় আজকের কুচকাওয়াজ দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি নিবেদন করা হল।


৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করল ভারতীয় রেল৷ এদিন গার্ডেনরিচে, দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের সদর দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার মহান্তি। বিধানননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফেও পালন করা হল ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। চার পুলিশ অফিসারের হাতে মেডেল তুলে দেন পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমার।
দেশজুড়ে পালিত হল ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রতিবার এই দিনটিকে ঘিরে দিল্লির রাজপথে যে জাঁকজমক দেখা যায়, করোনা আবহে এবার তা অনেকটাই ফিকে। গত ৫৫ বছরে এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে উপস্থিত থাকলেন না কোনও বিদেশি অতিথি। প্রতিবার প্রায় সোয়া ১ লক্ষ দর্শক এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন। এবার মাত্র ২৫ হাজার দর্শকাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। করোনা আবহে এবার ১৫ বছরের কমবয়সী ও প্রবীণদের প্রবেশাধিকারে জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা।
অন্যদিকে, দিল্লির রাজপথে প্যারেডের আয়োজন করা হলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই হল কুচকাওয়াজ। পাশাপাশি, এই প্রথমবার ভারতীয় বায়ুসেনার প্রদর্শনীতে থাকল যুদ্ধবিমান রাফাল। এছাড়াও, ছিল বিভিন্ন প্রদেশের ১৭টি ট্যাবলো। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ট্যাবলোও অংশ নিয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রদর্শনীতে।
সকালে প্রথমে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সেখান থেকে রাজপথে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২১ বার তোপধ্বনি এবং জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। রাজপথের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি ও উপ রাষ্ট্রপতি। অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এদিন পাগড়ি পরে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতের জামনগর রাজ পরিবারের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে এই বিশেষ পাগড়ি উপহার দেওয়া হয়।