কলকাতা: বেসরকারি হাসপাতালের পর এবার বেসরকারি স্কুল। লাগামছাড়া ফি এবং চড়া ডোনেশন নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। নজরদারিতে তৈরি করে দিলেন সেল্ফ রেগুলেরটরি কমিশন।
বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন লাগামছাড়া খরচ নিয়ে। এবার টাউন হলে বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে বৈঠকেও বিপুল পরিমাণ ফি ও ডোনেশন নিয়ে ক্ষোভ লুকিয়ে রাখলেন না মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, আপনারা এত নেন কেন? বাপ রে বাপ!
তবে অনেকে বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালের মতো বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে তিনি অতটা খড়গহস্ত ছিলেন না। বরং মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে তাঁর সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। এই কাজের জন্য তিনি তৈরি করে দিয়েছেন একটি সেলফ রেগুলেটরি কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ইন্টারফেয়ার করতে চাই না। কমিশন তৈরি করে দিচ্ছি।
ফি ও ডোনেশনের বিষয়টিতে নজরদারির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এদিন যে কমিশন তৈরি করে দিয়েছেন, তাতে কারা কারা থাকবেন, তাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ১০ সদস্যের সেই কমিশনে রাজ্যের একাধিক স্কুলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। স্কুলের প্রতিনিধি ছাড়াও থাকবেন শিক্ষা সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি এবং কলকাতার আর্চ বিশপ।
এই নজরদারির প্রয়োজন কেন পড়ল, সেটাও এদিন কথায় কথায় বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ডোনেশনের নাম করে ম্যাল প্র্যাকটিস চলছে। এরকমও শুনেছি, বেশি ডোনেশন দিলে বেশি ক্লাস নেওয়া নেয়। কোথা থেকে পাবে? মানুষ কষ্ট করে। আর পারছে না। সামার ক্যাম্পের নাম করে ফি। স্কুল যখন বন্ধ থাকে তখনও ট্রান্সপোর্টেশন ফি নেওয়া হয়।
সূত্রের দাবি, এই বিষয়গুলির ওপরেই এবার থেকে নজরদারি চালাবে নবগঠিত কমিশন। শুধু কমিশন তৈরিই নয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর তিনি এনিয়ে পর্যালোচনায় বসবেন। বলেন, আপনারা টাইম টু টাইম বৈঠকে বসবেন। একবছর পর এনিয়ে আবার বসব।
স্বাস্থ্য কমিশনের মতো বেসরকারি স্কুলের ফি ও ডোনেশনের বিষয়ে নজরদারিতে তৈরি কমিশনেও ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন তথ্য জানতে এবং অভিযোগ জানাতে পারবেন।