কলকাতা: খিদিরপুর থেকে রাজ্য দফতর পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi banerjee) রোড-শো-র অনুমতি দিল না পুলিশ। তবে রোড শো-তে অনড় বিজেপি (BJP)। গভীর রাত পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত। আজ দুপুর তিনটেয় আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে থেকে, মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত র‍্যালি করার কথা দলের কলকাতা জোনের নতুন পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।

সেই কর্মসূচিতেই অনড় থাকল তারা। যদি পুলিশ পথ আটকায়, তাহলে র‍্যালি চিড়িয়াখানার সামনে থেকে মুরলীধর সেন লেনে যাওয়ার পূর্বে কালীঘাট ঘুরে যাবে। পথে বাধা না পেলে পূর্ব নির্ধারিত রুট দিয়েই যাবে র‍্যালি। এর আগে লালবাজার জানায়, বাইক ও গাড়ি নিয়ে রোড শো করলে ব্যাপক যানজট হতে পারে। তাই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

এতদিন গেরুয়া শিবিরে থেকেও যেন ছিলেন না! কিন্তু নতুন পদ পাওয়ার পর থেকেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। শেষমেষ বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির হয়ে পথে নামছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।

র‍্যালিতে অংশ নেবেন বিজেপির কলকাতা জোনের নতুন পর্যবেক্ষক। দলের সদর কার্যালয়ে গিয়ে বুঝে নেবেন নিজের দায়িত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার থেকেই কাজ শুরু করে দেবেন তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। থাকবেন বিজেপির কলকাতা জোনের সহ আহ্বায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

একসময় শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য। তৃণমূল নেত্রী তাঁকে সস্নেহে ডাকতেন, কানন বলে! সেই কাননই ২০১৯-এর ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। পদ্মশিবিরে কানন ফুটলেও, নতুন দলের হয়ে গত দেড় বছরে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে। উল্টে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির সঙ্গে তাল কেটেছে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

অবশেষে পরিস্থিতি বদলায় গত নভেম্বরে। রাজ্য সফরে এসে নিউটাউনের হোটেলে অমিত শাহর সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৭ ডিসেম্বর, শোভন চট্টোপাঝধ্যায়কে বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহ আহ্বায়ক করা হয়। এরপর সোমবারই প্রথম দুজনের বড় কর্মসূচি শহরে। এই কর্মসূচি কতটা শান্তিপূর্ণ হয়, সেটাই দেখার।