কলকাতা: নারদ মামলায় সিবিআই জল্পনা আরও জোরাল। বৃহস্পতিবার, কলকাতা হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, মামলার আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকার বলেছিল, নারদকাণ্ডের তদন্ত করবে। যেহেতু এই মামলায় হেভিওয়েটদের নাম জড়িয়েছে, তাই রাজ্যের সংস্থার পরিবর্তে যদি স্বাধীন সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাতে আপত্তির কী আছে?

এর আগে শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতি নিশীথা মাত্রেও বলেন, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সংস্থার তদন্ত করা উচিত। এ দিনের শুনানিতেও প্রধান বিচারপতি বলেন, হতে পারে ম্যাথ্যু স্যামুয়েল একজন খারাপ লোক, কিন্তু তার মানে এই নয়, তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়াটা অনুমোদনযোগ্য। ম্যাথ্যু স্যামুয়েলের কী হবে, এই মুহূর্তে তা নিয়ে আদালত চিন্তিত নয়। বরং ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়েই আদালতের চিন্তা।

এ দিনের শুনানিতে অভিযুক্তদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের নেতানেত্রীদের গায়ে কালি ছেটাতেই এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। গোটাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা আদৌ কোনও স্টিং অপারেশন নয়। কোনও দুর্নীতি হচ্ছে, সেটা গোপনে শ্যুট করা হলে তাকে স্টিং অপারেশন বলে। নারদকাণ্ডে যিনি টাকা দিচ্ছেন, তিনিই ভিডিও শ্যুট করছেন। এখানে কাউকে টাকা চাইতে দেখা যায়নি।

এর আগের দিনের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্রও বলেছিলেন, এটা আদালতগ্রাহ্য অপরাধ বলে মনে হয় না। ফুটেজে কোথাও টাকা চাওয়া হয়েছে বলে দেখা যায়নি।

পাল্টা তহেলকাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে মামলাতেও টাকা চাওয়া হয়নি। তাও সেটা ঘুষ সংক্রান্ত মামলা।

আগামী বুধবার এই নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি।