কলকাতা: অশান্তির মেঘ রাজ্যের চলচ্চিত্র শিক্ষাকেন্দ্র সত্যজিং রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে। কাজ থেকে অব্যাহতি নিলেন খোদ অধিকর্তা। পদ ছাড়তে চেয়ে চিঠি রেজিস্ট্রারেরও। সত্যজিত রায়ের নামে একুশ বছরের এই প্রতিষ্ঠান বড্ড অশান্ত হয়ে ওঠেছে, স্বীকারোক্তি চেয়ারম্যানের।
পদত্যাগী অধিকর্তা দেবাঞ্জন চক্রবর্তীর বক্তব্য, কাজের চাপ ও পরিস্থিতিগত কারণে অব্যাহতি চেয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে পাঠানো অধিকর্তার অব্যাহতির চিঠি গৃহীতও হয়েছে।  নয়া নিয়োগের আগে পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের এক অধ্যাপককেই অধিকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রেজিস্ট্রার অনিন্দ্য আচার্য, চেয়ারম্যানকে দেওয়া তাঁর অব্যাহতি চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতির কথা লিখেছেন। রেজিস্ট্রারের আক্ষেপ, কাজ না করতে পারার হতাশা থেকেই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
কেন এমন ঘটনা?
এসআরএফটিআই-এর ক্যাম্পাস জুড়ে শোনা যাচ্ছে নানা কথা। একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগে কলঙ্কিত হয়েছে প্রতিষ্ঠান। এসআরএফটিআই সূত্রে খবর,  ইতিমধ্যে তি অধ্যাপক ও চার পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এই অভিযোগে। এই ঘটনা পরম্পরায় প্রতিষ্ঠানের জোড়া শীর্ষ পদ থেকে অব্যাহতি চাওয়ায় তৈরি করেছে নয়া বিতর্ক।
সমস্যার বীজ যে ক্যাম্পাসে, ইনস্টিটিউট যে বড় অশান্ত, তা  কার্যত মেনে নিয়েছেন এসআরএফটিআই-এর চেয়ারম্যান। এসআরএফটিআই জুড়েই সত্যজিত রায়ের স্মৃতি।  ইন্দির ঠাকুরণ থেকে চারুলতা -------- নানা সৃষ্টির কোলাজ দেওয়াল জুড়ে। সৃষ্টিশীল সেই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অধিকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার। আড়ালে-আবডালে কেউ কেউ বলছেন, আসলে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ, মোটেই ভালো নেই বাইপাসের সত্যজিতের স্মৃতিধন্য এই প্রতিষ্ঠান।