কলকাতা: জোট নিয়ে ঘরে-বাইরে অশান্তি। তার মধ্যেই আলিমুদ্দিন স্পষ্ট করে দিল, আগামী দিনে কোন চার পথে তারা আন্দোলন করবে।
সিপিএমের নিজস্ব পথ। বামফ্রন্টের আন্দোলনের পথ। বৃহত্তর বাম আন্দোলন। এবং কংগ্রেস-সহ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন।
বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে আলিমুদ্দিন। কখনও কেন্দ্রীয় কমিটিতে জোরাল জোট সমালোচনা তো, কখনও আবার শরিকদের জোট-আক্রমণ। এ সবরে পরেও, বৃহস্পতিবার, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বুঝিয়ে দিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের হাত ছাড়লে চলবে না। একইসঙ্গে এও স্পষ্ট করলেন, সব শরিকদের সঙ্গে নিয়েই চলতে চায় আলিমুদ্দিন। এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, সিপিএমের চারটে অবস্থান। সিপিএমের নিজস্ব পথ। বামফ্রন্টগতভাবে আন্দোলনের পথ। বৃহত্তর বাম-আন্দোলনের পথ। কংগ্রেস-সহ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের পথ। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হবে।
বাম-কংগ্রেস জোট করেও ভোটে ভরাডুবি হয়েছে। ভোটের পর এই জোটে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে দূরত্বের ইঙ্গিত। কখনও বামেদের মিছিলে ডাকা হচ্ছে না কংগ্রেসকে। কখনও আবার, বামেদের সঙ্গে এক যোগে ওয়াক আউট করেও, পরে বিধানসভায় যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেস বিধায়করা। এই প্রেক্ষাপটে, জোটের ভবিষ্যৎ‍ প্রশ্নের মুখে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ। আলিমুদ্দিন অবশ্য মনে করছে, এটাই আসল পরীক্ষার সময়। সূর্যকান্ত বলেন, নির্বাচনের সময় জোট হয়েছিল। এখন নির্বাচন নেই। এখনই আসল পরীক্ষার সময়।
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডাকা মিছিলে যেতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। বামফ্রন্টের শরিক দলগুলিও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কোনও বিধায়কই শনিবারের মিছিলে যাবেন না। আলিমুদ্দিন অবশ্য কংগ্রেসের মিছিলে যোগ দিতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে কি সুজন চক্রবর্তী একাই যাবেন? সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বাম পরিষদীয় দল আলোচনা করছে।