কলকাতা: প্রথমে জনতা কার্ফু। তারপর থালা বাজিয়ে, করতালি দিয়ে করোনা যোদ্ধাদের অভিবাদন। এরপর রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে দেশবাসীকে একজোট হওয়ার বার্তা। ২১ দিনের লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর এই একের পর এক কর্মসূচিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়। সংবাদমাধ্যমেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা। আলো নিভিয়ে কি করোনা চলে যাবে? কিংবা হাততালির শব্দে কি করোনা দূর করা যাবে? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএমের একাধিক নেতা। এবার সামাজিক সঙ্কট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।


লকডাউনে গোটা দেশ কার্যত গৃহবন্দি। স্বাস্থ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া যাবতীয় সব পরিষেবাই বন্ধ। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যায় পড়েছে দিন আনি দিন খাই মানুষ। রোজগারে টান যৌনকর্মীদেরও। উপার্জন না থাকায় অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। এই অবস্থায় কেন তাঁদের কাছে খাবার, জল, অর্থ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন স্বস্তিকার। অভিনেত্রীর প্রশ্ন, যৌনকর্মীরা কি মানুষ নন? তাঁরা কি দেশের নাগরিক নন? প্রধানমন্ত্রী অন্ধকার সময়ে একতার কথা বলছেন। অথচ ওঁদের ন্যূনতম পরিষেবাটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। বাঁচার জন্য কেবল যৌনতা করলেই কি ওঁদের চলবে?



রবিবার রাত ৯টায় দেশবাসীকে ৯ মিনিটের জন্য আলো নিভিয়ে প্রদীপ, টর্চ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বস্তিকার ট্যুইট, “মোবাইল? প্রদীপ? ফোন? টর্চ? যৌনকর্মীদের জন্য কোনটা? যারা আমাদের দেখভাল করছে তাঁদের সংহতি জানাতে যৌনকর্মীদেরও সামিল হতে হবে? দুঃখিত, ওঁদের তো সামিলই করা হয়নি।”


আরও একধাপ এগিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, তাঁর বাড়িতে মোমবাতি নেই। তিনি নিশ্চিত, আরও অনেকের বাড়িতেও খুঁজলেও মোমবাতি পাওয়া যাবে না। তাহলে এবার সবাইকে বাইরে বেরিয়ে মোমবাতি কিনতে হবে। কী মজা! এভাবেই নরেন্দ্র মোদির ‘দীপ জ্বেলে যাও’ কর্মসূচিকে বিদ্রুপ করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।