বুধবার বিচারপতি সি এস কারনান নির্দেশ দেন,
অবিলম্বে টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্য সরকারকে। নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে প্রশিক্ষিতদেরই।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর আজই সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৫-র ১১ অক্টোবর টেট পরীক্ষা নেয় রাজ্য সরকার। পরীক্ষায় বসেন প্রায় ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী।
কিন্তু কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নিয়োগ হয়নি। সময়সীমা পেরোনোর পর, নতুন করে প্রশিক্ষণহীনদের সময় যাতে না দেওয়া হয়, সে জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী চিন্ময় দোলুই।
কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুযায়ী,
প্রশিক্ষণ না থাকলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাতেই বসা যায় না। কিন্তু, প্রশিক্ষণহীনদেরও সুযোগ দিতে গতবছর ২৩ মার্চ কেন্দ্রকে চিঠি লেখে রাজ্য। উত্তরে কেন্দ্র জানায়, ২০১৬-র ৩১ মার্চের মধ্যে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ শেষ করতে হবে।
শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের চিঠির প্রতিলিপি জমা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সময় মতো তা দাখিল করতে না পারায় আদালতে ভর্তসিত হয় রাজ্য। টেট-এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত জানতে চায়,
প্রশিক্ষিত এবং অপ্রশিক্ষিতরা কি এক? এঁরা কী করে একই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন? প্রশিক্ষিতদের অধিকারকে কখনও খর্ব করা যায় না। শিক্ষার মান পড়ছে, শিক্ষক নিয়োগ খুব জরুরি।
একইসঙ্গে রাজ্যের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির স্বীকৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।
শেষপর্যন্ত বুধবার যাবতীয় অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘ আইনি লড়াই, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষমেশ, টেট মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট।