এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। বাংলাকে বঞ্চনা, বাংলার মানুষের অপমান। কোনও কিছু নিয়েই কেন্দ্র আলোচনা করে না। ৫০ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের প্রকল্পে রাজ্য টাকা দেবে কেন? ওরা শুধু লাভ করবে, আর রাজ্যকে লোকসান বইতে হবে? তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি।’
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা বিজেপি-র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। সরকার লাভ-ক্ষতির কথা ভেবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যদি একটি রুট লাভজনক না হয়, তাহলে ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া যায় না। জনস্বার্থ বলে একটা কথা আছে। রেল যদি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই চিঠি প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমরা বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করব।’
পাল্টা বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। রেলের পক্ষ থেকে রুট বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রুটগুলি লাভজনক নয়। রাজ্য সরকার যদি জনস্বার্থ নিয়ে এত চিন্তিত হয়, তাহলে তারা কেন ৫০ শতাংশ খরচ বহন করবে না?’
শুক্রবার অবশ্য পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে ৮টি রুট বন্ধ করার প্রস্তাব কেন্দ্র দিয়েছে, সেই রুটগুলিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার কোনও লক্ষ্য পূর্ব রেলের নেই। এই ধরনের কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ বা অন্যান্য রাজ্যকে আগেও চিঠি দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
রেলের চিঠিতে যে আটটি রুটের উল্লেখ রয়েছে, তারমধ্যে বারাসাত-হাসনাবাদও রয়েছে। প্রতিবাদে শনিবার টাকি স্টেশনে রেল অবরোধ করে যুব তৃণমূল।