কলকাতা: ধাঁচ বদলাচ্ছে আইএসসি। সিবিএসই-র আদলে সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রে এবার হবে আইসসি পরীক্ষা। রাজ্যে এসে ঘোষণা করলেন, আইসিএসই কাউন্সিলের চিফ এক্সিকিউটিভ এ্যান্ড সেক্রেটারি জেরি অ্যারাথুন।


 

কী বদল আসছে আইএসসি পরীক্ষায়?

কাউন্সিলের ঘোষণা, সিবিএসই-র মতো সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রে এবার পরীক্ষা হবে আইএসসি-র পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক ও জীববিদ্যার।

চলতি বছরে একাদশ শ্রেণি থেকেই লাগু হবে এই নয়া বিধি।  অর্থাৎ ২০১৮-র আইএসসি পরীক্ষা হবে সিবিএসই-র মতো সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রে।

প্রশ্নপত্রে থাকছে মাল্টিপল চয়েস।

জুন মাসের শেষে মডেল প্রশ্নপত্র প্রকাশ করবে আইসিএসই কাউন্সিল।

কিন্তু কেন সিবিএসই-মুখী আইসিএসই কাউন্সিল?

আসলে, আইআইটি জয়েন্ট, মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা সহ অধিকাংশ সর্বভারতীয় প্রবেশিকার নিয়ামক সিবিএসই বোর্ড।

এর ফলে পড়ুয়া ও অভিভাবদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, সিবিএসই বোর্ডের সিলেবাসে পড়লে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে সুবিধা হবে। শিক্ষামহলের একাংশের মতে, এই মনোভাবের ফলেই দশম শ্রেণির পর সিবিএসই বোর্ডে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। আইসিএসই কাউন্সিলের যুক্তি, এই ধারণা ভ্রান্ত। এই ধারণা বদলাতেই এই সিদ্ধান্ত।

এখানেই শেষ নয়।

এবার আইসিএসই কাউন্সিলের তৈরি সিলেবাসেই হবে প্রি প্রাইমারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন।

২০১৭ থেকে প্রতিটি ক্লাসের পঠনপাঠনে লাগু হবে এই বিধি।

আইসিএসই, আইএসসি - দু’টি পরীক্ষাতেই ইংরেজি সাহিত্যের নয়া সিলেবাস

২০১৯-এর পরীক্ষা থেকে এই পরিবর্তন লাগু হবে।


 

 

বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ামক বোর্ডগুলির সংস্থা কনফেডারেশন অফ বোর্ড অফ সেকেন্ডরি এডুকেশন বা কবসে-এর উদ্যোগে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে অভিন্ন সিলেবাস তৈরি হয়েছে। যে সিলেবাস অনুসরণ করছে দেশের ১৭টি বোর্ড।

সেই বোর্ডগুলির মধ্যে রয়েছে সিবিএসই ও আইসিএসই।

তার পরেও স্কুলের পঠনপাঠনের সঙ্গে সঙ্গে সর্বভারতী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রতি পড়ুয়াদের যে আকর্ষণ, সেই বাস্তবতাকে মেনে নিতেই সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রে সিবিএসই ও আইসিএসই-র এই অভিন্ন নীতি বলে মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ।