কলকাতা: সবে পঞ্চমী। তাতেই যানজটের চাপে হাঁসফাঁস কলকাতা। ব্যাপক যানজট। অবরুদ্ধ উত্তর থেকে দক্ষিণ। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন।

উত্তর থেকে দক্ষিণ। দুপুর হতেই কলকাতার রাস্তা যেন স্থির। যেখানে গাড়ি-ঘোড়া চলছে, সেখানেও যেন স্লো মোশন। কলকাতায় এখন চতুর্থী থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো। মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়ে ঠাকুর দেখার ভিড়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পঞ্চমীর দুপুরে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থমকে যায় যানবাহনের গতি।

উত্তর কলকাতার বি টি রোড, বিধান সরণি, গালিফ স্ট্রিট, আর জি কর রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে দুপুর থেকেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। ই এম বাইপাসেও সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। দক্ষিণ কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্কের প্রতিমা দেখতে এবারও উপচে পড়া ভিড়। সংলগ্ন রাস্তা তো বটেই, তার প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ কলকাতার অন্যান্য রাস্তাতেও। পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ, কংগ্রেস এক্সিবিশন রোড, গড়িয়াহাট রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, শরৎ বোস রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, ডি এল খান রোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়।

দুপুর থেকেই যানজটের চাপ এমন বাড়তে শুরু করে যে, শরৎ বোস রোডে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। রাসবিহারি অ্যাভিনিউতে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ নামানো হয় অতিরিক্ত ভলান্টিয়ার। কিন্তু, তাতেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দেওয়া যায়নি। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই ভিড় বেড়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বৃহস্পতিবার দুপুরে আশ্বাস দেন। কিন্তু, বাস্তবে বিকেল হতে কলকাতাবাসীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে সেই যানজট। আধ ঘণ্টার রাস্তা যেতে পেরিয়ে যান দেড় ঘণ্টা। অনেকে বলছেন, পঞ্চমীতেই এই অবস্থা হলে এরপর কী হবে?

ইতিমধ্যে অবশ্য পুলিশ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বুধবার দুপুর তিনটে থেকে শহরের রাস্তায় মালবাহী গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে থেকে শহরের বড় রাস্তাগুলিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অটো চলাচল। কিন্তু, তাতেও পঞ্চমীতে অন্তত যানজট আটকানো গেল না।