কলকাতা: স্ত্রীয়ের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে যেভাবে ট্রাফিক পুলিশ আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ শিয়ালদা আদালতের বিচারকের। তিনি প্রশ্ন তুললেন পুলিশের তদন্ত পদ্ধতি নিয়েও। পুলিশ পেটানোয় অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের।


কলকাতা পুলিশের সার্জেন্টের সামনেই তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি! তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? কোথাও কি পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্যই এ ধরনের বেপরোয়া মানসিকতা বেড়ে চলেছে? ‘ধরা পড়লেও, সাজা হবে না, ঠিক বেরিয়ে যাব’ এই ধারণা মনে গেঁথে যাওয়াতেই কি প্রকাশ্যে জনসমক্ষেও শ্লীলতাহানি করতে ভয় পাচ্ছে না দুষ্কৃতীরা? কোথাও কি তদন্তে খামতির জেরে বহু ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে? ট্রাফিক সার্জেন্টের স্ত্রীর শ্লীলতাহানির মামলায় বিচারকের মন্তব্য এই প্রশ্নই আরও উস্কে দিল।


শনিবার শুনানি শুরু হওয়ার পর শিয়ালদা আদালতের বিচারক বাণীব্রত দত্ত তদন্তকারী অফিসারের উদ্দেশে বলেন, আজ পুলিশ অফিসারের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি হয়েছে, কাল আমার স্ত্রীর হবে। মোদ্দা কারণ কি জানেন? তদন্তের জন্য যা সিজ করতে হয়, তা সঠিকভাবে খুব কম ক্ষেত্রে হয়। জামিনযোগ্য ধারায় মামলা থাকলেও তদন্তের গতি কমান ‘আইও’ রা। কনভিকশনে জোর দিন, অটোমেটিক কমবে এই ধরনের অপরাধ। পুলিশ কর্মীর স্ত্রীর পোশাক ধরে টানা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, সেই ছেঁড়া কাপড়ের এভিডেন্সটা কিন্তু সিজ হয়নি। কজন ছিল ঘটনাস্থলে, তাও পরিষ্কার নয়! কীভাবে সমাজকে সাফ করবেন?


বিচারকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারি আইনজীবী নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, তদন্তকারী অফিসার মাথা নিচু করে। অভিযুক্ত রাজু লোধকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।