পুলিশ সূত্রে খবর, আকাঙ্খার সঙ্গে তার দেখা করার দিন, ক্ষণ, মুহূর্ত...সবেরই বিবরণ দিয়েছে উদয়ন। জানিয়েছে, ২০০৭ সালে আকাঙ্খা যখন জয়পুরে পড়াশোনা করত, তখন তার সঙ্গে অর্কুটে আলাপ।
ওই বছরেরই ১০ জুন, রায়পুর থেকে বিমানে জয়পুর গিয়ে আকাঙ্খার সঙ্গে দেখা করে উদয়ন।
এরপর দীর্ঘদিন দু’জনের মধ্যে তেমন যোগাযোগ ছিল না। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে, ফেসবুকে ফের কথা শুরু....শুরু ঘনিষ্ঠতা।
ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বরে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলে উঠেছিল উদয়ন। তখন আকাঙ্খার বাবা বর্ধমানে পোস্টিং ছিলেন। ওই হোটেলে এসে রাত্রিবাস করে আকাঙ্খা।
এরপর দিল্লিতে হোটেলে বহু বার দু’জনে একসঙ্গে থেকেছে।
উদয়নের দাবি,২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার বিমানে ভোপাল যায় আকাঙ্খা।
মন্দিরে পুজো দিয়ে বিয়ে করে, দু’জন ফ্ল্যাটে ফিরে আসে। উদয়ন জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে পটনায় ছিল আকাঙ্খা। সেলিব্রেট করতে, ভোপাল থেকে বিমানে পটনা গিয়েছিল উদয়ন। রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ করে দু’জন। মেনুতে ছিল, পছন্দের ডিশ, চিকেন ব্রেস্ট ও ওয়াইন। পটনাতেই যেহেতু আকাঙ্খার বাড়ি, তাই সেবার তার হোটেলে থাকা হয়নি। ফলে, ভোপাল ফিরে আসতে হয়েছিল উদয়নকে।
২০১৬ সালের ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে দিল্লিতে দেখা করে দু’জন। হার্ড রক ক্যাফেতে সেরেছিল ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। তারপর হোটেলে রাত্রিবাস...
গত অক্টোবরে বাঁকুড়ায় গিয়েছিল উদয়ন। আমেরিকার ভিসা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে, আকাঙ্খার পরিবারকে সে ভোপালে ডেকেছিল। কিন্তু উদয়নের লক্ষ্যপূরণ হয়নি। ভোপাল যায়নি আকাঙ্খার পরিবার।
জানুয়ারিতে উদয়ন তাদের জানায়, ২২ জানুয়ারি সে ও আকাঙ্খা আমেরিকা থেকে ভোপালে ফিরবে। আপনারা চলে আসুন। মেয়ের সঙ্গে দেখা হবে।
জানা গেছে, উদয়নের পরিকল্পনা ছিল, এবছর ভ্যালেন্টাইন ডেতে আমেরিকা থেকে ফিরে এসে, ভোপালের বাড়িতে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করছে, সেরকম সবাইকে খবর দেবে বলে ভেবেছিল উদয়ন।