কলকাতা ও নয়াদিল্লি: লন্ডন থেকে আসা কলকাতার বিমানে ২ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল।


বিমানবন্দর সূত্রে খবর, গতকাল সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছয় বিমানটি। তাতে ২২২ জন যাত্রী ছিলেন। ২৫ জন যাত্রীকে পরীক্ষার পর ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।


স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আক্রান্ত ২ জনই উপসর্গহীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রোটোকল অনুযায়ী তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে নতুন ভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা না করে বলা যাবে না।


এদিকে, চরিত্র বদলে ব্রিটেনে আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে করোনা। এরই মাঝে লন্ডন থেকে অমৃতসরে আসা উড়ানে ৫ জন যাত্রীর শরীরে মিলল সংক্রমণ।


গতকাল মাঝরাতে অমৃতসরে পৌঁছয় ব্রিটেন থেকে আসা উড়ান। যাত্রী ও বিমানকর্মী-সমেত ২৮১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফল পজিটিভ হওয়ায়, যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে, আজ থেকে ব্রিটেন-ভারত উড়ান বন্ধের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সোমবার এনিয়ে দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা বিষয়ক যৌথ নজরদারি গোষ্ঠী। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান সংযোগ বন্ধ।


ওই বৈঠকের ডাক দিয়েছে দেশের করোনা পরিস্থিতির ওপর নজরদারির কাজে নিযুক্ত জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপ। গতকালের ওই বৈঠকে অংশ নেন চিকিত্‍সক, ভাইরাস বিশেষজ্ঞরাও। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।


ইতিমধ্যেই ব্রিটেন থেকে কিছু বিমান রওনা হয়ে গিয়েছে। সেই সব বিমান ভারতে পৌঁছলে যাত্রীদের RT-PCR টেস্ট বাধ্যতামূলক। যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে তাঁদেরকে কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে। নেগেটিভ হলে ৭ দিনের হোম আইসোলেশন।


পাশাপাশি, ব্রিটেনে নতুন ধরনের করোনা সংক্রমণের জেরে আরও ৪০টি দেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্রিটেন থেকে আসা উড়ানের ক্ষেত্রে কোথাও নিষেধাজ্ঞা, কোথাও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে।


ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড থেকে আসা বিমানের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মানি। ব্রিটেনের কিছু এলাকায় আবার নতুন করে আরোপ করা হয়েছে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।