কলকাতা: সম্পত্তিকর নির্ধারণে অক্টোবর থেকে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট চালু করছে কলকাতা পুরসভা। তাদের দাবি, নতুন ব্যবস্থায় করদাতারা নিজেরাই নিজেদের কর নির্ধারণ করতে পারবেন। কর আদায়ে স্বচ্ছতা আসবে। যদিও পুরসভা জানিয়েছে, বিকল্প হিসেবে চালু থাকবে পুরনো কর ব্যবস্থাও। যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
নতুন এই কর ব্যবস্থা অনুযায়ী,

কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডকে এ, বি, সি, ডি, ই এবং এফ, এই ছ’ভাগে ভাগ করা হবে। এই ভাগ হবে, এলাকার পরিকাঠামোর উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ আপনি যেখানে থাকেন, সেখানকার পুর পরিষেবা কেমন? রাস্তা কতটা চওড়া? কী কী সুবিধা রয়েছে? এই সব পরিকাঠামোর উপর ভিত্তি করে এলাকাগুলিকে ছ’ভাগে ভাগ করা হবে। তারপর সম্পত্তির বর্গফুট পিছু ন্যূনতম মূল্য ঠিক করা হবে। সেই ন্যূনতম মূল্যের উপর নির্ধারণ করা হবে সম্পত্তি কর।
পুরভার বক্তব্য, এই নতুন কর ব্যবস্থার ফলে উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ। কিন্তু কীভাবে? পুরসভার দাবি,

নতুন ব্যবস্থায় করদাতারা নিজেরাই নিজেদের কর নির্ধারণ করতে পারবেন। এর জেরে ইনস্পেক্টর রাজ কমবে। সম্পত্তি কর আদায়েও স্বচ্ছতা আসবে। অর্থাৎ, পুরসভা এই ব্যবস্থা চালু করে দিলে, আপনি নিজেই জানতে পারবেন, আপনি কোন ক্যাটাগরির এলাকার মধ্যে থাকেন। ফলে সেই এলাকার জন্য যে কর লাগু হবে, আপনাকে শুধু সেইটুকুই দিতে হবে। এজন্য পুরসভার ইনস্পেক্টরদের সঙ্গে দরাদরি করতে হবে না।

তবে কেউ চাইলে পুরনো ব্যবস্থাতেও কর দিতে পারবেন।
বিরোধীরা এই কর ব্যবস্থাকে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও, পুরনো কর ব্যবস্থা চালু রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, কেউ যদি দেখেন পুরনো কর ব্যবস্থায়, তাঁর সম্পত্তিকর কম হচ্ছে, সেক্ষেত্রে তিনি ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে কর দেবেন কেন? প্রশ্ন বিরোধীদের।

অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এবিপি আনন্দ