কলকাতা: পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় খুনের তদন্তে ট্যাটু দেখে তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টা পুলিশের! খতিয়ে দেখা হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও। পুলিশের বক্তব্য, খুনের কিনারা করতে প্রথমে তরুণীর পরিচয় জানাটা অত্যন্ত জরুরি।


২৪ ঘণ্টা পার। কিন্তু, কিনারা তো দূর অস্ত। এজেসি বোস রোডকাণ্ডে তরুণীর পরিচয়ই এখনও জানতে পারল না পুলিশ। পরিচয় জানতে তরুণীর হাতের ট্যাটুই ভরসা গোয়েন্দাদের।

শনিবার সকালে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার এজেসি বোস রোডে উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কেন? খুনি কে? এখনও তার কিনারা হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে হাতের দু’টি ট্যাটু দেখে তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর বাঁ হাতের ট্যাটুতে রিমা লেখা রয়েছে। ডান হাতে লেখা সমীর।

ট্যাটু দেখে পুলিশের অনুমান, মহিলা নিজের ও ঘনিষ্ঠ কোনও ব্যক্তির নাম ট্যাটু করে দু’হাতে লিখে রেখেছিলেন। পরিচয় জানতে, তরুণীর পায়ের আঙুলের আংটি ও তাঁর জামার স্টিকারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন থানার মিসিং ডায়েরিও।

পুলিশ সূত্রে আরও খবর, তরুণীর ডান কব্জিতে ব্লেড দিয়ে কাটা পুরনো ১২টি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, তরুণীর আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল। পুলিশের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে দেহটি এজেসি বোস রোডে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু, কে বা কারা দেহটি ফেলে দিয়ে যায়? জানতে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে রিপন স্ট্রিট ও নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর সামনে ট্রাফিক সিগন্যালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কিন্তু, নিহত তরুণীর পরিচয় জানাটা কেন জরুরি? পুলিশের বক্তব্য, পরিচয় না জানা গেলে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যেতে পারে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২০১২ সালে। এসএসকেএম হাসপাতালে ট্রলি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। রিস্টব্যান্ড দেখে পরিচয় জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন গোয়েন্দারা। যার ফল, এখনও  কিনারা হয়নি সেই হত্যাকাণ্ডের। এবার তাই প্রথম থেকেই তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টায় পুলিশ।