কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিগ্রহকাণ্ডে বিবেকানন্দ মহিলা কলেজের ৯ ছাত্রীকে সাসপেন্ড। ৭৭ জনকে ক্ষমা চাইতে হবে উপাচার্যের কাছে। সুগত মারজিতে গাড়ি আটকেছিলেন যে বহিরাগত যুবক, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরের সিদ্ধান্ত। এত পদক্ষেপের মধ্যেও মূল অভিযুক্ত দেশবন্দু গার্লস কলেজের তৃণমূল নেত্রীরা কি শাস্তি পাবেন? তা নিয়ে ধোঁয়াশা কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে।


সূত্রের খবর, বহিরাগত এই যুবকের নাম বান্টি। মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর গাড়ি আটকাতে দেখা গিয়েছিল, নিজেকে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক’ দাবি করা এই যুবককে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিবেকাননন্দ কলেজ ফর উইমেনের পরিচালন সমিতি।

১ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত বিবেকানন্দ কলেজের ৯ ছাত্রীকে। উপাচার্যের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অকৃতকার্য ৭৭ জন ছাত্রীকে। উপাচার্যের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিচ্ছে বিবেকানন্দ কলেজ কর্তৃপক্ষও।

মঙ্গলবার ঘটনায় নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল দেশবন্ধু গার্লস কলেজের দুই টিএমসিপি নেত্রী ওয়াহিদা খাতুন ও টিঙ্কু দাসকে। ওই দুই ছাত্রী সহ চারজনকে চিহ্নিত করে চিঠি যাচ্ছে দেশবন্দু কলেজের কাছে।

যদিও দেশবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষের সাফাই, ক্যাম্পাসের মধ্যে ঘটনা ঘটেনি।
উপাচার্য সুগত মারজিতের বক্তব্য, দোষ এবং দণ্ডে যেন সমতা থাকে। তিনি বলেন, ছাত্রীরা কেউ শত্রু নয়, লঘু দোষে যেন গুরু দণ্ড না হয়।

দোষীদদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও। সেই কমিটি এদিন তলব করে দেশবন্দু কলেজের অধ্যক্ষকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেন বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যক্ষ। দুই অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি দেশবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ।

এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, অভিযুক্ত দুই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী ওয়াহিদা খাতুন ও টিঙ্কু দাসকে টিএমসিপি সাসপেন্ড করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি?