কলকাতা: সিপিএমে যুগবসান। ৬ অগাস্ট, ২০২০ দুপুর ১টা বেজে ৫০ মিনিটে পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত্যু হল বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, “বার্ধক্যজনিত কারণেই ভর্তি হয়েছিলেন শ্যামলবাবু। তার ওপর ছিল কিডনির সমস্যাও। শেষের দিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ায় আমরা তাঁকে আর বাঁচাতে পারলাম না। দুঃখজনক ঘটনা, পরিবারকে হাসপাতালের তরফে সমবেদনা।”


প্রয়াত নেতার প্রতি শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোন করে শ্যামলবাবুর মেয়ে ঊষসীর সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্যের প্রথম সারির মন্ত্রীরাও।



বিপরীত ধর্মী এবং আদর্শের রাজনীতি করলেও শ্যামল চক্রবর্তী যে একজন নিষ্কলঙ্ক রাজনৈতিক ছিলেন, সে বিষয়ে কোনওরকম সংশয় না রেখেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “নিষ্ঠাবান কমিউনিস্ট ছিলেন। ছাত্র আন্দোলন এবং ট্রেড ইউনিয়ন করার সময় থেকেই আলাপ। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত এবং পরিবারের প্রতি সমব্যথী।”


রাজ্য মন্ত্রিসভার আরও এক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শ্যামলবাবুর স্মৃতিচারণা করে জানান, “বাষট্টি সাল থেকে চিনি। প্রথমে ঝগড়া হলেও পরে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। ওঁর চলে যাওয়ায় বন্ধু বিয়োগ হল।”