কলকাতা: স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের প্রথম কড়া সিদ্ধান্ত। চার মাসের কুহেলি চক্রবতীর মত্যুর ঘটনায় অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করল তারা। ১৯ এপ্রিল চার মাসের কুহেলির মৃত্যুতে অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। এবিপি আনন্দ’র ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠান’ এই খবর সম্প্রচারিত হয়।

ছোট্ট কুহেলির পরিবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে অভিযোগ জানায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কমিশন যে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ১৫ জুন এবিপি আনন্দে প্রথম সেই খবর সম্প্রচারিত হয়। এরপর শুক্রবার নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। চার মাসের কুহেলির মৃত্যুর ঘটনায় অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল তারা।

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের নির্দেশ, কুহেলি চক্রবর্তীর পরিবারকে ৩০ লক্ষ টাকা দেবে অ্যাপোলো। ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা। বাকি ২০ লক্ষ টাকা ৩ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। দেরি করলে, বছরে ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে অ্যাপোলোকে। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিকিৎসায় গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। কোলনোস্কপির জন্য ভর্তি করা হলেও, তা না করিয়ে কুহেলির সিগময়ডোস্কপি (Sigmoidoscopy) করা হয়।  কেন বা কার নির্দেশে সিগময়ডোস্কপি হয়েছিল, চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিতে তার উল্লেখ নেই। এমনকী, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, কুহেলির অ্যানাস্থেশিয়া করা হয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে কমিশন।

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে অ্যাপোলোর ৩ চিকিৎসকের শাস্তির সুপারিশও করেছে কমিশন। এই ৩ চিকিৎসক হলেন, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বৈশালী রাজ শ্রীবাস্তব, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট মহেশ কুমার গোয়েঙ্কা এবং অ্যানাস্থেসিস্ট সঞ্জয় মহাবার। অর্থ দিয়ে কখনও জীবনের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। কিন্তু, সবার একটাই প্রার্থনা, আর কোনও ছোট্ট কুহেলিকে যেন এভাবে চলে যেতে না হয়।