কৃষ্ণেন্দু অধিকারী,কলকাতা: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলছে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল। ক্লাস হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে একসঙ্গে এক ঘরে বসানো যাবে না সবাইকে, মানতে হবে করোনা-বিধি। ভোটের পর ১১ জুলাই হবে জয়েন্ট। বুধবার ভাবনার কথা জানিয়েছিল সরকার। অবশেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হল বৃহস্পতিবার। ১১ মাস পর আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল।
এবিষয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, নির্দেশিকা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-গোটা স্কুল বিল্ডিং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পডুয়া থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। রুটিন মেনেই সব ক্লাস হবে।
এক ঘরে যেন সব ছাত্রছাত্রী না বসে। একটি ক্লাসের পড়ুয়াদের দুই বা তার বেশি ঘরে বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যায়। স্কুলে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হলেও এখনই সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে না কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রস্তাব মেনে আপাতত অনলাইনে চলবে উচ্চশিক্ষা। ভোটের আগে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হলেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স হবে ভোটের পর। জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড জানিয়েছে, ১১ জুলাই রাজ্যে হবে জয়েন্ট এন্ট্রাস। কবে থেকে আবেদন করা যাবে তা এ মাসেই জানানো হবে। উচ্চমাধ্যমিক শুরুই হচ্ছে জুনে। তাই জুলাইয়ে জয়েন্ট নেওয়ার সিদ্ধান্ত।
স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে ক্লাসরুম স্যানিটাইজেশনের কাজ। সরকার জানিয়েছে, এক সঙ্গে সবাইকে নয়, ধাপে ধাপে ক্লাসে আনতে হবে পড়ুয়াদের। ২-১ দিনের মধ্যেই জারি হচ্ছে বিজ্ঞপ্তি। স্কুল মানেই গমগমে ক্লাস....! সহপাঠীদের সঙ্গে খুনসুঁটি। ভাগ করে টিফিন খাওয়া... । করোনা আবহে দীর্ঘদিন উধাও এই ছবি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে স্কুল খুলছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। ১১ মাস পর স্কুলে ফিরছে নবম থেকে দ্বাদশের প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়া। এতদিন পর ক্লাস শুরুর সরকারি সিদ্ধান্তে তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে স্কুলগুলিতে। কোভিড বিধি মেনে কীভাবে পড়ুয়াদের ক্লাস করানো যায়, তা নিয়ে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে স্কুলে স্কুলে। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের স্বার্থে শুরু হয়ে গেছে ক্লাসরুম জীবাণুমুক্ত করা।