সূর্যাগ্নি রায়, কলকাতা: রাম মন্দির নির্মাণের জন্য, ৫ লক্ষ ১ টাকা দান করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। আজ রাজভবন থেকে চেক সংগ্রহ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামমন্দির নির্মাণ কমিটির সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, দানসংগ্রহের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সময় চাওয়া হয়েছে।


সরয়ূর তীরে তৈরি হচ্ছে ইতিহাস। তৈরি হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দির। এই মন্দির তৈরির জন্য, দেশজুড়ে আর্থিক অনুদান সংগ্রহ শুরু করছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। সেখানে দান করলেন রাজ্যপাল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামমন্দির নির্মাণ কমিটির হাতে তুলে দিলেন ৫ লক্ষ ১ টাকার চেক। সপ্তাহ খানেক আগে, রাম মন্দিরের নির্মাণকাজের জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দান করেছিলেন ৫ লক্ষ ১০০ টাকা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামমন্দির নির্মাণ কমিটির সদস্যরা।


বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামমন্দির নির্মাণ কমিটি সাধারণ সম্পাদক অলোক কুমার বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য এই রাজ্যে ১ কোটি লোকের থেকে টাকা তুলব।’’


বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামমন্দির নির্মাণ কমিটির দাবি,তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছেন। তবে, এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে সদর্থক কিছু জানানো হয়নি। গত বছরের ৫ অগাস্ট, সরযূ পাড়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।


কিন্তু কেমন দেখতে হবে নতুন রামমন্দির? নতুন নকশা অনুযায়ী, রাম মন্দিরের উচ্চতা হবে ১৬১ ফুট। দৈর্ঘ্য ৩৬০ ফুট। প্রস্থ ২৩৫ ফুট। একেবারে ধ্বজার নীচে থাকবে গর্ভগৃহ। এখানেই অধিষ্ঠিত করা হবে রামলালাকে। গর্ভগৃহের ওপরে দ্বিতীয় তল এবং তার ওপরে আরও একটি তল বাড়িয়ে তিনতলা করা হয়েছে। মন্দিরে প্রবেশের এই পথ বা সিঁড়ির নাম দেওয়া হয়েছে সিংহদ্বার। এই সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলেই সোজা দেখা যাবে গর্ভগৃহ। দেখা মিলবে রামলালার। ওপরে উঠলেই আপনার চোখে ধড়া পড়বে পাথরের ওপর অপূর্ব কারুকার্য।


সূত্রের খবর, রামমন্দির তৈরিতে কোনও লোহা বা স্টিলের ব্যবহার করা হচ্ছে না। সবটাই পাথরের ওপর কারুকার্য। বহু বছর আগে যে পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে।