সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ১৪ দিন আগে স্ত্রীর করোনা ধরা পরে। তারপরই করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে শিয়ালদা রেল স্টেশনের কাছে নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি করান স্বামী। শুরু হয় চিকিৎসা। বিগত ১০ দিন সেই রোগীর আর কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি বলে হাসপাতাল ছুটি দিয়ে দেয়। কিন্তু স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যেতে নারাজ স্বামী।
বেলেঘাটার বরফকল অঞ্চলের নিবাসী বছর পচাত্তরের বৃদ্ধের দাবি, হাসপাতালকে তাঁর স্ত্রীর করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ লিখে দিতে হবে। তাহলেই তিনি স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাবেন। এনআরএস কর্তৃপক্ষ হিন্দিভাষী ওই বৃদ্ধের আর্জি পত্রপাঠ খারিজ করে দেয়। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সপ্তাহখানেক কিংবা তারও বেশি, দশ দিনের মধ্যে রোগীর কোনও উপসর্গ না থাকলে তাঁর আর টেস্ট করার প্রয়োজন নেই। এমনিই রোগীকে ছুটি দিয়ে দিতে পারে হাসপাতাল। এই নির্দেশিকা মানতে নারাজ ওই বৃদ্ধ। তাঁর বক্তব্য, “আমার বাড়িতে একটাই ঘর। দুই নাতনি আর এক মেয়ে রয়েছে। আমি তো জানি না, স্ত্রীর করোনা সেরে গিয়েছে কিনা। এই অবস্থায় স্ত্রীকে কীভাবে বাড়ি নিয়ে যাব?” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বরফকলের নিকটবর্তী এলাকায় একটি ঘরের আবেদনও করেছেন তিনি।
রোগীর পরিবারের এহেন মনোভাবে স্বাভাবিক ভাবেই খানিকটা বিপাকে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তরফে এবিপি আনন্দকে জানানো হয়েছে, তারা স্বাস্থ্যভবনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছেন। স্বাস্থ্য দফতর কোনও বন্দোবস্ত না করলে সম্ভবত সেফ হোমেই পাঠানো হবে ওই করোনাজয়ী মহিলাকে।