কলকাতা: সিঙ্গুরের প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় তুঙ্গে তৎপরতা। সমানতালে চলছে সাফাই ও প্লটিংয়ের কাজ। কিন্তু ৫৬ একর জমির ওপর তৈরি টাটাদের কারখানার এই শেডে এখনও হাত দেয়নি রাজ্য সরকার। যদিও সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, শেড খোলার প্রশ্নে টাটাদের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা হবে না।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টাটাদের সঙ্গে মৌখিক কথা বলেছেন অমিত মিত্র। কোর্টের নির্দেশ সবাই জানে। শেডটা তুলে নিয়ে যেতে বলেছি। যদি আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ওরা না খোলে, তাহলে আমরা খুলে ডিএমের কাছে রাখব, ওরা নিয়ে যাবে। আশা করি নিজেরাই সরিয়ে নেবে।
এদিন নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তিনি জানান, বুধবারের অনুষ্ঠানে ৯১১৭ জন কৃষককে পড়চা-সহ জমির ফেরতের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেওয়া হবে।
৮০০ জন কৃষককে দেওয়া হবে সুদ ছাড়া ক্ষতিপূরণ। ওই দিনের অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে, মাটির জয়-মানুষের জয়’।
এদিন মমতা ঘোষণা করেন, ৯৯৭ একর জমি আছে। ৬২০ একর জমি মঙ্গলবারের মধ্যে রেডি হয়ে যাবে। গোটা প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ডিং করছি। আমি নিজে কয়েকজনের হাতে চেক ও জমির কাগজ তুলে দেব। আমি চলে আসার পর বাকিটা অন্য মন্ত্রীরা তুলে দেবে। জমি ফেরত পাওয়ার পর, কে কী করবে, তার ব্যাপার। যে সব চাষীরা চাষ করবে, তাদের সবরকম সাহায্য করবে কৃষি দফতর। বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বুধবার আলাদাভাবে সিঙ্গুরে যে প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন মঞ্চে একটিই সরকারি অনুষ্ঠান হবে। এদিন সভাস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন আইজি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক। মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর পাশাপাশি সিঙ্গুরে যান আরামবাগের সাংসদ আফরিন আলি পোদ্দারও।