কলকাতা:  সকাল সকালই শহর ঢেকেছে কুয়াশার চাদরে। বর্ষবরণের রাতের আগে থেকেই শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতিবাংলার বিভিন্ন রাজ্যে। কলকাতাতেও শীতের আমেজ জমজমাট। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম।

আজ পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া, রাজ্যের এই ৬ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত এমনই থাকবে আবহাওয়া।

অন্যদিকে, ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি সহ গোটা উত্তর-পশ্চিম ভারত। গত কয়েকদিন ধরে হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে চলছে তুষারপাত। এর ফলে রাজ্যে শীতল হাওয়া ঢোকায় বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের দিন কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা।

করোনা ভ্রুকূটির মধ্যেই উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে তৈরি হচ্ছিলেন অনেকেই। এরই মধ্যে নতুন প্রজাতির করোনার হানার আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার  নিউ ইয়ার্স ইভ। ৩১ ডিসেম্বর বললেই এখন কলকাতাবাসীর চোখের সামনে  ভিড়ের ছবি ভেসে ওঠে। কিন্তু, এবার কোভিডের জেরে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন ও জিনের চরিত্রগত বদল। এই প্রেক্ষাপটে সংক্রমণ রুখতে বর্ষবরণের উৎসবে রাশ টানল কলকাতা হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিট-সহ অন্যান্য জায়গায় ভিড়ে রাশ টানতে হবে। কোথাও যাতে বাড়তি ভিড় বা জমায়েত না হয়, তার উপর নজর দিতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে। পার্ক স্ট্রিট-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে চেক পোস্ট তৈরি করে নজরদারি চালাতে হবে। ভিড় মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে হবে মুখ্যসচিবকে।

হাইকোর্ট এদিন আরও নির্দেশ দিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালন করতে হবে বর্ষবরণ। সবাই মাস্ক, স্যানিটাইজার ঠিকমতো ব্যবহার করছে কিনা, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

করোনার জেরে এর আগে দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো, সব উৎসবই হাইকোর্টের গাইডলাইন মেনে হয়েছে। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশে অনুমতি ছিল না। দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোও নিষিদ্ধ ছিল। এবার করোনার কথা ভেবে বর্ষবরণেও বিধিনিষেধ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।