কলকাতা: নিউটাউনের হোটেল থেকে বিবাহিত তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘর থেকে মিলেছে একটি কাগজের টুকরো। পুলিশের দাবি, তাতে খুনের কথা কবুল করেছে আততায়ী। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই মহিলার পুরুষ সঙ্গীর।
ফেসবুকে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে ঘর ছেড়েছিলেন মেদিনীপুরের গৃহবধূ।
পরিবারের দাবি, চাকরির আশায় সুদূর মেদিনীপুর থেকে এসেছিলেন কলকাতায়।সেখানেই মিলল তরুণীর রক্তাক্ত মৃতদেহ।
নিউটাউনের হোটেলে বিবাহিত তরুণীকে নৃশংসভাবে খুন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম চুমকি ঘোষ। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। সোমবার রাতে, এই হোটেল থেকেই উদ্ধার হয় তরুণীর রক্তাক্ত মৃতদেহ।
হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার দুপুরে চুমকি ঘোষ ও অমিত ঘোষ নামে দুই যুবক যুবতী হোটেলের ঘর নেয়। রেজিস্টারে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঠিকানা দেওয়া ছিল। সন্ধে ৭টা নাগাদ ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু, সাড়াশব্দ না পেয়ে রাত ১০টা নাগাদ ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খোলেন হোটেল কর্মীরা।দেখেন ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তরুণী।
পুলিশ সূত্রে খবর,হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার ৪টে নাগাদ বেরিয়ে যান তরুণীর পুরুষ সঙ্গী। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে মিলেছে একটি কাগজের টুকরো।তাতে খুনের কথা কবুল করেছে আততায়ী।
খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে তরুণীর পরিজনরাও। মৃতের স্বামী বলেছেন, ফেসবুকে আলাপ। চাকরি দেবে বলে আনে।মৃতার দাদাও একই কথা বলেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তরুণীকে। মৃতদেহে রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। পাশেই পড়ে ছিল মদের বোতল। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।