নয়াদিল্লি: করোনা টিকা ফাইজারকে ছাড়পত্র দিল কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রথম ডোজ দেওয়া হবে ১২ থেকে ১৫ বছরের কিশোর-কিশোরীদের। কানাডার স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা সুপ্রিয়া শর্মার বক্তৃতা উদ্ধৃত করে দাবি রয়টার্সের।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এবার নজির গড়ল কানাডা। কিশোর কিশোরীদের জন্য এবার টিকাকরণ শুরু করছে তারা। টিকাকরণের জন্য দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বেছে নিয়েছে ফাইজারকে। মূলত ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বর্ষীয়ান পরামর্শদাতা সুপ্রিয়া শর্মা জানিয়েছেন, ফাইজার বায়োএনটেক টিকা সংশ্লিষ্ট বয়সের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আমেরিকায় সংশ্লিষ্ট বয়সের প্রায় ২২০০ কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যককে দেওয়া হয়েছিল টিকার ডোজ। বাকি অর্ধেককে দেওয়া হয়েছিল প্লাসবো।
সুপ্রিয়া শর্মা জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশের এই ভ্যাকসিন কাজ করেছে। যারা প্লাসবো নিয়েছিল তাঁদের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সূত্রের খবর, যারা ভ্যাকসিনের সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে কয়েকজনের সামান্য জ্বর, হাত পায়ে ব্যথা হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ রয়েছে স্কুল সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ক্লাস চলছে অনলাইনে। লেখাপড়া ছাড়াও অন্যান্য কাজও চলছে অনলাইনেই। কানাডার প্রশাসন জানিয়েছে, যাদের বয়স ১৯ বছরের কম তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার ২০ শতাংশ। ১৯ বছর থেকে কম বয়সীদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।
কিশোর কিশোরীদের টিকাকরণ শুরু হওয়া আঁধারের শেষে আলো বলে ব্যাখ্যা করছে সেদেশের প্রশাসন। সুপ্রিয়া শর্মা বলেন, আমরা আশাবাদী এই অন্ধকারের শেষে আলো রয়েছে। এদিকে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে সেই দেশে। জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। এরপরই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। ৬০ বয়সী ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় তারপর। জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয়, দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটল এই নিয়ে তৃতীয়বার।