নয়াদিল্লি:  দেশের করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৪ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই বৈঠকে রাজ্য়সভা এবং লোকসভার সদস্য়রা উপস্থিত থাকবেন।  কোভিড পরিস্থিতিতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। এদিকে ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত এমন ৩ সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্য়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।



সূত্রের খবর, শুক্রবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্য়মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। আর এই বৈঠক নিয়েই বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি ফের লকডাউনের মতো কোনও বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে দেশ? এহেন জল্পনার প্রেক্ষাপট হল, তামিলনাড়ু সরকার ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা নিয়ে নিয়মবিধির মেয়াদ বাড়িয়েছে। ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে স্নাতকের চূড়ান্ত বর্ষের ক্লাস। মেরিনা বিচ পুনরায় খুলবে ১৪ ডিসেম্বর। পরিকাঠামো অনুযায়ী ৫০ শতাংশ জন সমাগম হতে পারে। অথবা ২০০-র বেশি জন সমাগম হবে না।



অন্যদিকে জেনোভা বায়ো ফার্মাসিউটিক্য়াল লিমিটেড, বায়োলোজিক্যাল ই লিমিটেড, ডঃ রেড্ডিস ল্য়াবরেটরিসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংশ্লিষ্ট সংস্থায় যাঁরা ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদি। ৩ সংস্থাকে ভ্যাকসিন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সহজ ভাষায় বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছেন মোদি যাতে ভ্যাকসিনের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছেস কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিন সংস্থার প্রস্তাব, মতামত চেয়েছেন মোদি। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে ৩ সংস্থার উদ্য়োগেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে শনিবার সিরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক এবং জাইডাসে যান প্রধানমন্ত্রী।



দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে সংক্রমণের হার। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৭২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্য়া ৯৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৯২। অ্যাক্টিভ কেস ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৫২। সুস্থ হয়েছেন ৮৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬০০জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৪৩ জনের।