আলস্য ত্যাগ করতে হবে
চাণক্যর মতে আলস্য একজন মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং সাফল্য লাভের পথে মস্ত বড় বাধা। এই বাধা অতিক্রম করতে না পারলে, এই শত্রুকে পরাস্ত করতে না পারলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে মানুষের সমস্যা হয়। আলস্য যাকে পেয়ে বসেছে সে সমস্ত কাজে দেরি করে, সময়ের কাজ সময়ে করে উঠতে পারে না, ফলে যা পাওয়ার যোগ্য ছিল, তা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে দিনের পর দিন। তাই নিজের সফল হওয়ার পথ সুগম করতেই আলস্যকে চিরতরে বিদায় দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চাণক্য। খোঁজ নিলেই বোঝা যায়, যিনি জীবনে সফল তিনি কখনওই অলস নন।
নেতিবাচক চিন্তা নয়
মানুষকে সফল হতে হলে নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে বলে মনে করতেন চাণক্য। নেগেটিভ ভাবনা কারও মাথায় কিংবা মনে থাকলে তা কাজের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নেতিবাচক ভাবনা প্রশ্রয় দিতে থাকলে ইতিবাচক এনার্জি কাজ করতে বাধা পায়। যে কাজ সহজে হয়ে যেতে পারতো তা ধাক্কা খেতে থাকে। চাণক্য আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, যদি কোনও ব্যক্তি অত্যন্ত প্রতিভাবানও হন, কিন্তু মন যদি নেতিবাচক ধারণার দ্বারা চালিত হতে থাকে, তাহলে তাঁর ক্ষেত্রেও কর্মসাধনায় সিদ্ধিলাভ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ইতিবাচক হতেই হবে।
মিথ্যার আশ্রয় নয়
জীবনে সফল হওয়ার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিতে বারণ করছেন চাণক্য। মিথ্যা কথা বা আচরণ একটি অন্যায় কাজ। এমন একটি অন্যায়ের মাধ্যমে সাফল্য আসতে পারে না বলে মনে করেন চাণক্য। তাঁর ব্যাখ্যা, জীবনে এক লাফে সফল হয়ে যাওয়ার জন্য অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে চান। এক-আধবার সাফল্য এসেও যায়। কিন্তু সেই সাফল্য চিরস্থায়ী হয় না। কারণ মিথ্যা যখন ধরা পড়ে যায় তখন সমস্ত সাফল্যের সুনামের উপর বদনামের কালিমা সেঁটে যায়। তা থেকে আর বেরিয়ে আসা যায় না। তাই প্রয়োজনে সাফল্যের জন্য একটু বেশি সময় কিংবা পরিশ্রম লাগলেও, মিথ্যার পথ এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিচ্ছেন চাণক্য।