Chandrayaan 3: শুরু হয়ে গিয়েছে ফাইনাল কাউন্ট ডাউন (Final Count Down)। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবশেষে অবসান হতে চলেছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তারপরেই ইসরো (ISRO) লঞ্চ করবে তৃতীয় চন্দ্রযান, অর্থাৎ চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। তৃতীয়বারের জন্য চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে ভারত। ফের এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা দেশ। প্রতিবারের মতো এবারেও রয়েছে উত্তেজনা। আজ ১৪ জুলাই ভারতীয় সময় দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন অর্থাৎ ইসরো। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে উড়বে এই মহাকাশযান। চতুর্থ দেশ হিসেবে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি। আগামী ২৩ অথবা ২৪ অগস্ট চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা চন্দ্রযান ৩- এর ল্যান্ডার এবং রোভারের। সব ঠিক থাকলে সত্যিই ইতিহাস গড়বে ভারত। কারণ চন্দ্রযান ৩ হতে চলেছে প্রথম মহাকাশযান যা চন্দ্রপৃষ্ঠের সাউথ পোল বা দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করবে।
চন্দ্রযান ২- এর সঙ্গে কতটা মিল রয়েছে চন্দ্রযান ৩- এর
বলা হচ্ছে, চন্দ্রযান ৩ প্রায় তার আগের ভার্সান অর্থাৎ চন্দ্রযান ২- এর মতোই। তবে চন্দ্রযান ২- এর সময় অর্থাৎ ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযানের সময় মহাকাশযানে ছিল একটি অরবিটার। কিন্তু চন্দ্রযান ৩- এর ক্ষেত্রে এই অরবিটার নেই। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই লঞ্চ হয়েছিল চন্দ্রযান ২। তার প্রায় চার বছরের মাথায় এবার উৎক্ষেপণ হতে চলেছে চন্দ্রযান ৩। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ২- এর মতোই চন্দ্রযান ৩ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে Geosynchronous Satellite Launch Vehicle (GSLV Mark III)- এর সাহায্যে।
কোথায়, কীভাবে দেখবেন লাইভ
ইসরোর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে চন্দ্রযান ৩- এর উৎক্ষেপণ দেখা যাবে লাইভ। চন্দ্রযান-৩ কে সাজানো হয়েছে একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার দিয়ে। এই মহাকাশযানটি চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের পর প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মহাকাশযানটি যখন চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে প্রবেশ করবে তার গতি অনেক কমে যাবে। মহাকাশযানটি তার উচ্চতা কমিয়ে ধীরে ধীরে প্রবেশ করবে চাঁদের বৃত্তাকার কক্ষপথে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ISRO-এর এই অভিযানে ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। চন্দ্রযান ২ এর তুলনায় অনেকটাই কম খরচ হয়েছে। আগের অভিযানে খরচ হয়েছিল ৯৬০ কোটি টাকা। যদিও সেই অভিযানে একটি বড় অংশ ব্যর্থ হয়েছিল কারণ, চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডার অসফল হয়েছিল। চন্দ্রযান ৩- এর অভিযান শুরু থেকে শেষ করতে সময় লাগবে মোট এক চন্দ্র দিন অর্থাৎ প্রায় পৃথিবীর প্রায় ১৪ দিনের সমান। এতে যে ল্যান্ডার রয়েছে সেটি চাঁদের মাটিতে মাসখানেকের একটু বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে।
আরও পড়ুন- নিচে নয় আকাশের দিকে উড়ে যায় জলপ্রপাতের এই জল! অলৌকিক না বৈজ্ঞানিক ঘটনা?