ভোপাল: কুনো জাতীয় উদ্যানের (Kuno National Park) চৌহদ্দি পেরিয়ে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার দূরের খেতে ঢুকে পড়ল চিতা (Cheetah)। উদ্যান কর্তৃপক্ষের দাবি, নামিবিয়া (Namibia) থেকে যে আটটি চিতা আনা হয়েছিল, তারই একটি এটি। নাম, ওবান। উদ্যানের যে ফ্রি রেঞ্জ এরিয়া (Free Range Area) রয়েছে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ওবান। আপাতত তার খোঁজে কপালে ঘাম ছুটেছে বন দফতরের।


কী ঘটেছে?
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে শেওপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার পি কে ভার্মা বলেছেন, 'ওর কলার সার্ভিস থেকে যে সঙ্কেত পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে শনিবার রাত থেকে গ্রামের দিকে এগোচ্ছে ও। তবে এখন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। গ্রামবাসীদেরও দূরে সরিয়ে রাখছে। পাশাপাশি বন দফতর চিতাটিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।' বনকর্মীরা যে ওবানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, সে রকম একটি ভিডিও এর মধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। 



নামিবিয়া থেকে আগতদের কী অবস্থা?
গত সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে যে ৮টি চিতাকে আনা হয়েছিল, তার মধ্যে ৪টিকে ফ্রি রেঞ্জ এরিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত  ১১ মার্চ ওবান ও আশা ফ্রি রেঞ্জ এরিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এলটন ও ফ্রেডির ক্ষেত্রে একই পথ নেওয়া হয় ২২ মার্চ। কুনোর জঙ্গলে চিতা যাতে ফিরে আসে, সে জন্যই নামিবিয়া থেকে প্রথম দফায় পাঁচটি স্ত্রী ও তিনটি পুরুষ চিতা আনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের বিশেষ এনক্লোজারে মুক্তি দেন। তবে গত মাসেই ওই আটটি চিতার মধ্যে একটির মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে মৃত চিতাটির নাম সাশা। জানুয়ারি মাসেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন সাশা গুরুতর অসুস্থ। কিডনির সমস্যায় ভুগছিল সে। পরবর্তীতে শরীরে জলের ঘাটতি জনিত সমস্যা বা ডিহাইড্রেশনেও ভুগছিল, এমনটাই বলা হয়েছিল।  ১৯৪৭ সালে তৎকালীন শেষ চিতাটির মৃত্যু হয় ভারতে। এর পর ১৯৫২ সালে চিতাকে দেশের মধ্যে বিলুপ্ত প্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়। এর পর, বছর তিনেক আগে ফের ভারতকে চিতার বাসযোগ্য করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্র।


আরও পড়ুন:শোভাবাজারের কাছে লাইনে অস্বাভাবিক শব্দ, বন্ধ হল মেট্রো