রীতি অনুযায়ী আজ অনেকেই নির্জলা উপবাস রাখবেন। আগামীকাল সূর্যোদয়ের পর ঊষা অর্ঘ্য নিবেদনের পরই সমাপ্ত হবে পুজো। আজ ফল, গুড়, ঠেকুয়া, গম, ঘি প্রভৃতি প্রসাদ নিবেদন করা হচ্ছে। আজ তিথি সমাপ্ত হচ্ছে বিকেল ৫ টা ২৬ মিনিটে।
করোনা পরিস্থিতিতে ছট উৎসবের জন্য একেক রাজ্যের একেকরকম নিয়ম। জেনে নিন কোন রাজ্যে কী কী নিয়ম পালন করা হচ্ছে ছটে।
দিল্লি: কেজরীবাল সরকার সব জেলাশাসক ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে যেন ছটপুজো কোনও মন্দির বা জলাশয়ে না পালন করা হয়। এই নির্দেশ জারি হওয়ার পর থেকেই অনেকে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার নির্দেশ শিথিল করেনি। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ঘাটে ছট পালন হচ্ছে না।
বিহার: এই রাজ্যে ছট অন্যতম বড় উৎসব। তবে এবার মূলত বাড়িতেই ছট পালন করছে বিহারবাসী। প্রশাসনের আবেদন, ১০ বছরের কম শিশু, বৃদ্ধ বা অসুস্থরা যেন জনাশয়ে গিয়ে পুজো না করেন। যাঁরা পুজো দিতে ঘাটে যাচ্ছেনও, সরকারি উদ্যোগে দেখা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধির বিষয়টি।
উত্তরপ্রদেশ: যোগী আদিত্যনাথের সরকারও ঘাটে ঘাটে ছট পালন না করার পক্ষেই। উৎসবের বহু আগে থেকেই সরকারের তরফ থেকে বাড়িতে ব্রতপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা একত্রিত হচ্ছেন, তাঁদেরও মাস্ক ও দূরত্ববিধি পালনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
ঝাড়খণ্ড: করোনা সংক্রমণ রুখতে বেশি মানুষের জমায়েতে অনুমতি না থাকলেও, নদীর ধারে গিয়ে ব্রতপালনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু জলাশয়ের ধারে কোনও স্টল তৈরি করা যাবে না। পোড়ানো যাবে না শব্দবাজি।
ওড়িশা: এই রাজ্যে সম্পূর্ণ বন্ধ নদী বা জলাশয়ে ছটপালন। রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বেশি জমায়েত মানেই, রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা। তাই এবার আর উৎসবের জন্য ভিড় করা যাবে না নদীর ধারে।
মহারাষ্ট্র: কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে বহুদিন এ রাজ্যে বন্ধ ছিল মন্দির ও ধর্মস্থান। বিভিন্ন নিয়ম মেনেই মন্দির খোলার অনুমতি দিলেও, সমুদ্রতীর বা জলাশয়ে ছটপালনে জমায়েতে অনুমতি দিচ্ছে না উদ্ধব সরকার।