নয়াদিল্লি: বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন ঘিরে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। যদিও বিরোধীদের তোলা 'ভোট চুরি' থেকে যাবতীয় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওড়ালেন  মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। 'বিহারের ভোটাররা পাশে আছে', কমিশনের উপর বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের দিলেন জবাব। দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, 'নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে সবাই সমান।'  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, 'হলফনামা দিতে হবে অথবা দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তৃতীয় বিকল্প নেই।'

আরও পড়ুন, NDA-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণকে 'অভিনন্দন', এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন মোদি-শাহ-নাইডু ?

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, 'যখন নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে, ভারতের ভোটারদের নিশানা করে, রাজনীতি করা হয়, আজ নির্বাচন কমিশন সকলের সামনে স্পষ্ট করতে চায়, নির্বাচন কমিশন নির্ভয়ে সব গরিব, ধনী, বয়স্ক, মহিলা, যুবক সব সর্বস্তরের ও সব ধর্মের ভোটারদের সঙ্গে কোনও ভেদাভেদ না করে পাশে ছিল, পাশে আছে, পাশে থাকবে। গত দুই বছর ধরেই প্রায় সব দলই ভোটার তালিকায় সংশোধনের দাবি জানিয়ে এসেছে। এই কারণেই নির্বাচন কমিশন, বিহারে বিশেষ সংশোধন শুরু করেছে।'

দেশজোড়া বিতর্কের আবহে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের প্রথম দফার শেষে বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম! এখনও পর্যন্ত বিহারে ভোটার তালিকায় ২১ লক্ষ মৃতের হদিশ মিলেছে। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এমনকী নির্বাচন কমিশনের তথ্যকে ভুল প্রমাণ করতে, ভোটার তালিকায় মৃত হিসেবে চিহ্নিত, এমন কয়েকজনকে সুপ্রিম কোর্টেও হাজির করা হয়েছে।  যদিও ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে বলেও দাবি করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, 'আসল সত্যি হচ্ছে, একসঙ্গে মিলে সব অংশগ্রহণকারী বিহারের SIR-কে পূর্ণরূপে সফল করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, চেষ্টা করছে, কঠিন পরিশ্রম করছে। যখন বিহারের ৭ কোটির বেশি ভোটার নির্বাচন কমিশনের পাশে আছে, তখন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না, ভোটারদের ভূমিকা নিয়েও কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না।'

রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কমিশন বিজেপির পক্ষে নয়, এরকম প্রসঙ্গে তবে যেভাবে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন চলছে, সেভাবেই যে গোটা দেশে একই কাজ করা হবে, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।