নয়াদিল্লি: জাতীয় সুরক্ষা ও দেশের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত মামলাতেই 'ফোকাস' করা উচিত শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থাগুলির, মত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। 'সিবিআই রেজিং ডে'-তে বিংশতম ডিপি কোহলি স্মারক বক্তৃতায় দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সিবিআই-কে বিভিন্ন রকমের ফৌজদারি মামলার তদন্তে জড়িয়ে যেতে হচ্ছে... এর ফলে নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থাকা তাদের পক্ষে আরও কঠিন হয়ে উঠছে।'


আর যা...
এদিনের বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি আরও মনে করান, কী ভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরাধের খোলনলচে বদলে ফেলেছে। ফলে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে। এই প্রসঙ্গে  প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমার মনে হয় দেশের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে আমরা বড় বেশি ছড়িয়ে ফেলেছি। জাতীয় সুরক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের বিষয়গুলিতেই শুধু নজর দেওয়া উচিত তাদের।' এই সংস্থাগুলির বেশিরভাগ অফিসারই যে ডেপুটেশনে আসেন, সে কথাও মনে করিয়ে দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কিন্তু যে ভাবে মামলার ভার বাড়ছে, তাতে সমাধান কী ভাবে আসতে পারে? এই প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার 'ডিজিটাইজেশন' করা দরকার। এফআইআর দায়ের থেকে শুরু করে তদন্তের পুরো প্রক্রিয়া যদি 'ডিজিটাইজেশন' করা যায়, তা হলে সমস্যা অনেকটা মোকাবিলা করা সম্ভব। তাঁর কথায়, 'ওয়ার্কশপ আয়োজন করে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের প্রত্যেককে, এমনকি ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি ডিভিশন-সহ সকলকে একত্রিত হয়ে চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে হবে।' এই প্রসঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। শীর্ষ বিচারালয়ের প্রধান বিচারপতি মনে করেন, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় 'গেম চেঞ্জার' হতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স। তবে পাশাপাশি, সংস্থার মধ্যে সংস্কার করে তার মানোন্নয়নেওও জোর দেন তিনি। 


তদন্তকারী সংস্থা সম্পর্কে...
গত বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতির আঙিনায় বার বার উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদনন্তকারী সংস্থাগুলির নাম। রাজনৈতিক দলগুলির একাংশের অভিযোগ, কেন্দ্রের সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করছে। প্রথমে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন ও হালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর সেই সমালোচনা তীব্র হয়। ইডি-সিবিআই-এনআইএ-র পাশাপাশি বিরোধীদের নিশানায় আসে আয়কর দফতরও। কংগ্রেসের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট 'ফ্রিজ' ও তার পর বিপুল অঙ্কের করের জন্য নোটিস পাঠানো নিয়ে আর এক প্রস্ত শোরগোল পড়ে জাতীয় রাজনীতিতে। 


 


আরও পড়ুন:ঘূর্ণিঝড়ে-বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি মুখ্যমন্ত্রী যেতেই তোপ শুভেন্দুর, বললেন..