নয়া দিল্লি : চিনে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Covid-19 Infection)। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রতি সপ্তাহে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও (CEO of SII) আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) বলছেন, ভারতবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
এক ট্যুইটারে কোভিড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের নির্মাতা সংস্থা SII-এর CEO আদর পুনাওয়ালা লেখেন, চিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর উদ্বেগজনক। কিন্তু, আমাদের অসাধারণ টিকাকরণ কর্মসূচি ও ট্র্যাক রেকর্ডের জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে, ভারত সরকার এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের গাইডলাইন সকলে মেনে চলুন।
কী পরিস্থিতি চিনে ?
হংকং পোস্ট অনুযায়ী, চিনের ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন ২ হাজার করে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রাক্তন ভারতীয় কূটনীতিক কেপি ফেবিয়ান উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন, চিনে ৬০ শতাংশের বেশি এবং বাকি বিশ্বের ১০ শতাংশ জনগণ করোনায় আক্রান্ত হতে চলেছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে সতর্ক ভারত। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ফের মাস্ক বিধি ফিরিয়ে আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সামনেই বড়দিন এবং নতুন বছর উদযাপন রয়েছে। তার আগেই সতর্ক কেন্দ্র সরকার।
স্বাস্থ্য সচিবের দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ভাইরাসের চরিত্র বুঝতে জোর দিতে হবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে। করোনার কোনও নতুন প্রজাতি এসেছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে। বুধবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাশাপাশি নীতি আয়োগের তরফে ভিকে পল বলেন, "আপনি যদি কোনও জমায়েতে যান তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। তা সে বাইরে হোক বা ভিতরে। কম বয়সি, বেশি বয়সির প্রশ্ন নয়, সকলেই এই নিয়ম মেনে চলুন।" এমনকী প্রিকশন ডোজ নিতেও বলা হচ্ছে সকলকে। নীতি আয়োগের সদস্য বলেন, "এখনও পর্যন্ত ভারতের মোট জনসংখ্যার ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ এই করোনা প্রতিরোধী প্রিকশন ডোজটি নিয়েছেন। এটিকে অতি অবশ্য নেওয়া উচিত সকলের।"
আরও পড়ুন ; ফের বাড়ছে করোনা, বছর শেষের আগেই ফিরছে মাস্ক বিধি!