নয়া দিল্লি: চিনে ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বেজিং জানিয়েছে, ৫ হাজার ২৮০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কিছু প্রদেশে সংক্রমণের হারও বেশি। ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলেছে যে ২০২০ এর পর সর্বোচ্চ এই আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল জিলিন প্রদেশ।
ইতিমধ্যেই সেখানে একাধিক প্রদেশে লকডাউন হয়েছে। চিনে মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা কেস রিপোর্ট করেছে। তবে এই প্রাদুর্ভাবে নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বেজিং, সাংহাই, শিয়ানজেন এর মতো শহরেও প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে। জিলিনের বাসিন্দাদের সেই প্রদেশ ছেড়ে অন্যান্য শহরগুলিতে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবের জন্য একাধিক দফা নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষা করেছে এবং অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করেছে এই দাপট এড়ানোর জন্য।
করোনার ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চিনের অনেক প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে। পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ গৃহবন্দি। সবচেয়ে বেশি ২.৪ কোটি মানুষ জিলিন প্রদেশের। এর পরে শেনজেনের ১.৭৫ কোটি এবং ডংগুয়ানের ১ কোটি মানুষ লকডাউনে রয়েছে।
অন্যদিকে, দেশে করোনার গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। গতকালের তুলনায় বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৮ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০৩। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৭।
এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৭৪ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬২। অন্যদিকে, বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬০ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৫৬ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ কোটি ৮৯ লক্ষ ৪০ হাজার ১৮৭।