বেজিং: চিনে তৈরি করোনা প্রতিষেধক পরীক্ষামূলক ভাবে তাঁর শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)কর্তা গাও ফু। তাঁর শরীরে এই টিকা কাজ করলে আরও মানুষকে দেওয়া শুরু হবে।


চিনা ই-কমার্সের অন্যতম ধারক আলিবাবা-য় আয়োজিত ওয়েবিনার আসরে গাও সকলকে জানান, আমি একটি আন্ডারকভার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলেছি। আমার শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি, এটি কাজ করছে ঠিকমতো।


উল্লেখ্য সম্প্রতি এক সংবাদসংস্থা প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দেশের সরকার সাধারণ মানুষের উপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার আগেই চিনের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা নিজেদের কর্মীদের উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখেছে। দেশের সরকারের অনুমতি না নিয়েই এভাবে পরীক্ষা চালানোটিকে নীতিগত জায়গা থেকে অনেকই অনুচিত মনে করছেন। কিন্তু উচিত-অনুচিতের তোয়াক্কা না করেই সংস্থাটি তাদের ৩০ জন কর্মীর উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করেছে গত মার্চেই।


কবে এবং কখন তাঁকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট জানাননি গাও। তিনি শুধু জানিয়েছেন, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে যে পরীক্ষা চলছে, তাঁর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ সেই পরীক্ষারই অঙ্গ। ব্যাপারটা হল, এখন ভ্যাকসিন বানানো নিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলির সঙ্গে অঘোষিত এক চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগোচ্ছে চিন।


সম্প্রতি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য আইন বিশেষজ্ঞ লরেন্স গোস্টিন তো বলেইছেন, ‘এখন যা অবস্থা কোভিন-১৯ প্রতিষেধক হল একেবারে অমৃতের মতো বস্তু। কে আগে হাতে পাবে তা নিয়ে না চাইলেও একটা লড়াই চলছেই। এ সেই অনেকটা কে আগে চাঁদে লোক পাঠাতে পারে তা নিয়ে রাশিয়া আর আমেরিকার লড়াইয়ের মতো।’ আর এক্ষেত্রে লড়াইয়ের অন্যতম প্রতিপক্ষ চিন। সারা বিশ্বে ডজন দুয়েক সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে আটটি প্রতিষেধকই চিনের। এত বেশি সংখ্যক সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়ে আর কোনও দেশ কাজ করছে না।