নয়াদিল্লি: কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর দিল্লির মেট্রো স্টেশন। ঠিক ৭ দিনের ব্যবধানে আরও এক সিআইএসএফ কর্মীর 'আত্মঘাতী' হওয়ার খবরে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার, পশ্চিম দিল্লির নংগলোই মেট্রো স্টেশনে কপালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিআইএসএফের এক কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম শাহরে কিশোর বলে পুলিশের দাবি।
বিশদ...
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে কনস্টেবল হিসেবে সিআইএসএফে যোগ দিয়েছিলেন নিহত ব্যক্তি। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দিল্লিতে পোস্টিং হয় তাঁর। এদিন দিল্লির নংগলোই মেট্রো স্টেশনে, 'ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন'-র কাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। শোনা যাচ্ছে, নংগলোই মেট্রো পুলিশ স্টেশনে সকাল ৭টা নাগাদ একটি ফোন আসে। তখনই পুলিশকর্মীরা গুলিবিদ্ধ সিআইএসএফ কনস্টেবলের কথা জানতে পারেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন তদন্তকারীরা, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। 'ক্রাইম টিম'-কেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। মৃতের পরিবার নারেলা সরকারি কোয়ার্টারে থাকে বলে জানতে পারে পুলিশ। তাঁদের কাছে খবর পাঠানো হয়। কিন্তু কেন এমন হল, নেপথ্যে ঠিক কী কারণ ছিল, কী দিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি, সবটাই খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। দিল্লির এই ঘটনা সপ্তাহখানেক আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্মৃতি টাটকা করে তুলেছে। এখানেও এক সিআইএসএফ জওয়ান নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে খবর।
কলকাতা বিমানবন্দরে যা ঘটে...
গত ২৮ মার্চ, ভোর সওয়া পাঁচটা নাগাদ, বিমানবন্দরের ৫ নম্বর গেটের কাছে ওয়াচ টাওয়ারে গুলি চলেছিল। কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালান বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। গুলিটি ওই জওয়ানের গলায় লেগেছিল। জখম অবস্থায় তাঁকে চিনার পার্কের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। মৃত জওয়ানের নাম শ্রী বিষ্ণু বলে জেনেছিল পুলিশ। সূত্রে খবর, আদতে তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওই সিআইএসএফ জওয়ান আত্মঘাতী হতেই সম্ভবত নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি? সেটি স্পষ্ট হয়নি। বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে যে তদন্ত শুরু করা হয়, তাতে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা তাঁর মোবাইল ফোন থেকে কোনও সূত্র মিলতে পারে। যদিও, কর্তব্যরত অবস্থায় সিআইএসএফ জওয়ানদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষেধ। সেই জন্য যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন তাঁর কাছে মোবাইল ফোন ছিল না বলেই খবর।