সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মিনিটে ছুড়তে পারে ৬০০ থেকে ৬৫০ রাউন্ড গুলি। রাইফেলের রেঞ্জ ৮০০ মিটার। নয়া এই রাইফেলের নাম ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল। এমন রাইফেলই তুলে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনী (CISF)-এর হাতে। 


ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে (Ichapur Ordnance Factory) তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল। ইতিমধ্যে ৬ হাজার রাইফেল তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের হাতে।         


বাহিনীর হাতে এবার ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল। প্রতি মিনিটে ৬০০-৬৫০ রাউন্ড গুলি বের হবে রাইফেল থেকে। ৮০০ মিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারে এই রাইফেল। অত্যাধুনিক এমনই ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি করল ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি। ইছাপুর রাইফেল ফ্য়াক্টরির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পিকে বেহেরা দেখান রাইফেলের নানা খুঁটিনাটি। তিনিই জানান, অটো ও ম্যানুয়াল দুরকমই হবে এই রাইফেল।        


CISF সূত্রে খবর, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিকে এমনই ১০ হাজার রাইফেলের বরাত দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ৬হাজার ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের আইজির হাতে। আগামী ৩ মাসে বাকি ৪ হাজার প্রস্তুত করে তুলে দেওয়া হবে।            


কীভাবে কাজে লাগবে?
CISF-এর IG সুধীর কুমার বলেন, 'আমাদের দরকার ছিল। চেয়েছিলাম। কোথায় কোথায় কাজে লাগাবে ঠিক করবে।'         


অস্ত্রের খুঁটিনাটি:



  • এক একটি ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেলের ওজন ৩.৬৫ কেজি।

  • প্রতিটির দাম পড়েছে ৭৬ হাজার টাকা।

  • ইছাপুর রাইফেল ফ্য়াক্টরি সূত্রে খবর, আগামী দিনে, ৯ এমএম লাইট পলিমারের পিস্তল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। 



CISF:
সেন্ট্রাল ইন্ডাসট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা CISF. এই কেন্দ্রীয় বাহিনী সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের একটি অংশ। মূলত শিল্পক্ষেত্রে পাহারা দেয় এই বাহিনী। এছাড়াও সরকারি পরিকাঠামো ক্ষেত্র, পারমাণবিক ক্ষেত্র, মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণার জায়গা, তৈল ক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকে এই বাহিনী। এছাড়াও, বন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ প্রকল্পের সুরক্ষার দায়িত্বও থাকে এর উপর। ভারতীয় নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলায় এই বাহিনী। আরও একাধিক সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ করে এরা। বিপর্যয় মোকাবিলার দায়িত্বও থাকে এই বাহিনীর উপর। এদের একটি ফায়ার উইং-ও আছে যারা অগ্নিকাণ্ডের সময় সাহায্য় করে।  


আরও পড়ুন: আবাস-রোষ সরকারি অফিসে, ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা