নয়াদিল্লি: সন্ন্যাসীর গ্রেফতারিতে উত্তাল বাংলাদেশ। সেই আঁচ এসে পৌঁছেছে সীমান্তের এপারেও। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেসের  নবনির্বাচিত হবু সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। বাংলাদেশে ISKCON মন্দিরর সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি এবং সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার যে হিংসার খবর উঠে আসছে, তা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রিয়ঙ্কা। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। (Priyanka Gandhi Vadra)


অতি সম্প্রতি নির্বাচনী রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে প্রিয়ঙ্কার। কেরলের ওয়েনাড থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার লোকসভায় সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা তাঁর। আর তার আগেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা। মাইক্রো ব্লগিং সাইট X (সাবেক ট্যুইটার)-এ তিনি লেখেন, 'বাংলাদেশে ISKCON মন্দিরের সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে লাগাতর ঘটে চলা হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাচ্ছি। সংখ্যালঘু মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে দাবি জোরাল করতে হবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে'। (Bangladesh News)



দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, 'বাংলাদেশে অন্যায় ভাবে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা দেশ ওঁর পাশে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন, বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা হোক এবং যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি পান চিন্ময়দাস'।



কংগ্রেসের তরফেও বাংলাদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যে অসুরক্ষিত পরিবেশে রয়েছেন, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ISKCON-এর সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কংগ্রেস আশা করে, ভারত সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাপসৃষ্টি করবে'।


ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হন বাংলাদেশে। চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলেও, তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এর আগে, দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। একটি সভায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতও।