নয়াদিল্লি: গোপনাঙ্গে (private parts) গুরুতর আঘাত (injury) করেছেন সিআরপিএফ (CRPF) আধিকারিকরা, দিল্লির উপরাজ্যপালকে (Lieutenant Governor) চিঠি লিখে জানালেন প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর (sukesh chandrasekhar)। তাঁর স্ত্রীকেও নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই তাঁদের যেন দিল্লির জেল (delhi jail) থেকে অন্য কোনও জেলে স্থানান্তর করা হয়, চিঠিতে আর্জি চন্দ্রশেখরের। আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন তিনি। 


কী বলছেন চন্দ্রশেখর?
আইনজীবী অশোক কে সিংহের মাধ্যমে চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, 'আম আদমি পার্টি, সত্যেন্দ্র জৈন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কৈলাস গহলৌতের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিতে টানা চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।' প্রসঙ্গত এর আগেও দিল্লির উপরাজ্যপালকে একাধিক চিঠি লিখেছেন প্রতারণায় অভিযুক্ত চন্দ্রশেখর। মূলত আপ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক সব অভিযোগ ছিল সেই চিঠিতে। প্রথম চিঠিতে চন্দ্রশেখর সরাসরি আপ-প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। অভিযোগ ছিল, এমন ২০ থেকে ৩০ জনকে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে চাপ দেওয়া হয়েছিল যাঁরা আপ-র দলীয় তহবিল ৫০০ কোটি টাকা চাঁদা দেবেন। আর একটি চিঠিতে চন্দ্রশেখরের অভিযোগ ছিল, জোর করে তাঁর কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা আদায় করেছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন। 'প্রোটেকশন মানি' বাবদ ওই টাকা নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। এফআইআর দায়েরের আর্জিও জানিয়েছিলেন। 


কেন জেলবন্দি?
একাধিক বিশিষ্ট ও বিখ্য়াত ব্যক্তিত্বকে ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে দিল্লির জেলে বন্দি চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে  তোলা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে গ্রেফতার হন তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচন কমিশনকে ঘুষ দেওয়ার একটি মামলায় মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। অভিযোগ, এক প্রাক্তন এআইএডিএমকে নেতা-সহ অনেকেই জড়িত ছিলেন ওই ঘটনায়। প্রতারণায় অভিযুক্তের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, নোরা ফতেহির। প্রসঙ্গত, ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় ইডির দেওয়া চার্জশিটেও নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তবে গত অক্টোবরে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন তারকা। তবে সেই অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।  


আরও পড়ুন:'আইন না মানলে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ', কেন হুঁশিয়ারি বিচারপতির?