নয়াদিল্লি: 'স্পুটনিক-ভি'-র তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে রাশিয়ায়। তারই মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনের ছাড়পত্র দিয়েছে পুতিন প্রশাসন। এবার প্রতিষেধকের বিশ্ব বাজার ধরতে তৎপর হল রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে যৌথ ভাবে 'স্পুটনিক-ভি' করোনা প্রতিষেধক তৈরি করতে একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করল রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড।
'স্পুটনিক-ভি' টিকার উৎপাদন ও লঞ্চ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া। হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকেও আবেদন করেছে। করোনা-টিকা তৈরিতে হায়দরাবাদ উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে।
বায়োলজিকাল ইভানস, সান্তা বায়োটেকনিকস, ইন্ডিয়ান ইমিউলজিকাল লিমিটেড, ভারত বায়োটেকের মতো বড় বড় ওষুধ প্রস্ততকারক সংস্থা রয়েছে দক্ষিণের এই শহরে। এদের মতো কোনও কোনও সংস্থা রাশিয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে।
তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সান্তা বায়োটেক ও বায়ো-ই রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনা টিকা তৈরিতে আগ্রহ দেখায়নি। কারণ তারা নিজেরাই প্রতিষেধক তৈরিতে ব্যস্ত।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে আগে করোনা প্রতিষেধক তৈরির কখা জানিয়েছিল মস্কো। দিনটা ছিল ১২অগাস্ট। কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে কেন রাশিয়া করোনা প্রতিষেধকের কথা ঘোষণা করে দিল তা নিয়ে বিশ্বের নানান মহলে সমালোচনা শুরু হয়।
সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ল্যানসেট অবশ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিষেধক অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম। তবে একাংশের মতে এত কম সংখ্যক মানুষের উপর এই পরীক্ষা হয়েছিল, তা নিয়ে কতটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়, তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।
যদিও রাশিয়া বাণিজ্যিক উৎপাদনে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের কোনও কোনও দেশও রাশিয়ার প্রতিষেধক 'স্পুটনিক-ভি'-র তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে।