নয়া দিল্লি : ব্রিটেনে রফতানির জন্য নির্ধারিত হলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল। ৫০ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ থেকে যাচ্ছে ভারতেই। এই বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন ব্রিটেনে পাঠানোর কথা ছিল সিরাম ইনস্টিটিউটের। এখন যা ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে।


দেশে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৮-৪৪ বছরের জন্য এই টিকা ব্যবহার করা যাবে। গত ২৩ মার্চ ৫০ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ ব্রিটেনে রফতানির অনুমতি চায় সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার তরফে জানানো হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি থাকার ফলেই এই কাজ করতে হবে তাদের। তবে দেশে এর ফলে তাদের করোনারোধী টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হবে না।  


এদিকে, কোভিশিল্ড টিকাকরণের নয়া সিদ্ধান্তের পরই রাজ্য সরকারগুলিকে বার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দ্রুত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট বয়সের ব্যক্তিদের টিকাকরণের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী প্রত্যেকটি রাজ্যে সরবরাহ হবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।


ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বরাদ্দের হিসেব। শোনা যাচ্ছে, কিছু রাজ্যের জন্য সাড়ে ৩ লক্ষ ভ্যাকসিন বরাদ্দ হয়েছে। ১ লক্ষ ভ্যাকিসন পাচ্ছে বেশ কয়েকটা রাজ্য। দুটি রাজ্যের বরাতে জুটছে ৫০ হাজার করে ভ্যাকসিনের ডোজ। দেশের করোনা গ্রাফ বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১৪,১৮৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের। । সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ২,৩৪,০৮৩ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৪,৯১,৫৯৮ জন।


গত ১৬ জানুযারি থেকে দেশে প্রথম ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ শুরু হয়। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীরাই এই টিকা পান। পরবর্তীকালে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা এই টিকা নেন। দেশে তৃতীয় টিকাকরণ শুরু হয় ১ মার্চ থেকে। সেই সময় প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫-এর ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদেরই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে ছিল কিছু বিধিনিষেধ। কেবল কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন ৪৫ প্লাস ব্যক্তিদেরই টিকার যোগ্য বলে ঘোষণা করে সরকার। তবে ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ ঊর্ধ্বের সবার জন্যই টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার। সম্প্রতি ১৮ প্লাসদের জন্যও টিকার দরজা খুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ মে থেকে শুরু হয়েছে সেই ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ।