নয়াদিল্লি: ভারতে আরও বাড়ল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দেশে এই ভাইরাসে নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন। এদিন গাজিয়াবাদের বাসিন্দা এক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি ইরানে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জন ইতালীয় নাগরিক এবং ১৪ জন ভারতীয়। প্রথম তিনটি ঘটনা কেরলের। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আবার, দিল্লিতে আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তাঁর থেকে আগরায় তাঁর ৬ আত্মীয়ের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। সকলকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, স্কুলগুলির উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে স্কুল চত্বরে বড় জমায়েত করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অতীতে কেউ করোনা-আক্রান্ত দেশে গিয়ে থাকলে, বা আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে এসে থাকলে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে।
শিক্ষিকাদের নির্দেশ, কোনও পড়ুয়াদের মধ্যে কাশি, জ্বর, বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে। চিকিৎসকের ফিট সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত ওই পড়ুয়াকে যেন স্কুলে আসতে না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্কুলে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। হোস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের ওপর বিশেষ নজর রাখতেও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
স্বাস্থ্যসম্মত সুরক্ষা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। সেখানে বলা হয়েছে প্রায়ই সাবান দিয়ে হাত ধুতে এবং সম্ভব হলে অ্যালকোহল-নির্ভর হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে।
পাশাপাশি, সকলের উচিত হাঁচি বা কাশি হলে অবশ্যই রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা। পরে, হাত ভাল করে হাত, মুখ ও চোখ ধোয়া। জরুরি হল, হাঁচি বা কাশি হাত কখনই চোখে, নাকে বা মুখে সেই হাত দেওয়া।
এদিকে, করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লিতে স্যানিটাইজার ও ফেস-মাস্কের হাহাকার পড়ে গিয়েছে। দিল্লির ওষুধের দোকানগুলিতে নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছে। এই ফাঁকে কিছু জায়গায় এই জিনিসগুলির কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। যেমন, ৫০ টাকার মাস্ক (এন-৯৫) কোথাও বিকোচ্ছে ১৫০ টাকায়, তো কোথাও আবার ৩০০ টাকায়!