নয়া দিল্লি : করোনায় মৃত্যু প্রতিরোধে ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ মৃত্যু রুখতে ৮২ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। কেউ যদি দুটি ডোজই নিয়ে নেন, তাহলে সেক্ষেত্রে সুরক্ষার হার ৯৫ শতাংশ।


টিকার কার্যকারিতা বিশ্লেষণের জন্য তামিলনাড়ুতে পরীক্ষা চালানো হয়। কতজন কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে(হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি ছাড়া) সেই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করছে তামিলনাড়ুর পুলিশ বিভাগ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, টিকা না নেওয়ার ফলে করোনায় কত পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে তা দেখা হয় বলে জানিয়েছেন ICMR-NIE-র অধিকর্তা মনোজ মুর্হেকর।


৩২ হাজার ৭৯২ জন কর্মী পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মে-র মধ্যে প্রথম ডোজ নেন। দুটি ডোজই নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৬৭৩ জন। ১৭ হাজার ৫৯ জন পুলিশকর্মী টিকা নেননি। 


রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল থেকে ১৪ মে-র মধ্যে করোনায় ৩১ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি পুলিশকর্মী তামিলনাড়ু পুলিশ বিভাগে কাজ করছেন।  


প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। দৈনিক কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছতে পারে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত। এমনই গুরুতর আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আইআইটি কানপুরের এক সমীক্ষায়। কানপুর আইআইটি-র দুই প্রফেসর রাজেশ রঞ্জন ও মহেন্দ্র বর্মার নেতৃত্বে এই সমীক্ষা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এসআইআর (SIR) মডেল অনুসরণ করে এই সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে। 


যদিও আনলক পর্বের মাঝে যাবতীয় করোনাবিধি মেনে চললে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত সংক্রমণের চূড়াকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে এবং ঢেউয়ের অভিঘাতও অনেক কম হবে বলে জানিয়েছে সমীক্ষক দল। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে যত বেশি সম্ভব টিকাকরণই অন্যতম অস্ত্র বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।